Teachers Arrested – ঘুষ নিয়ে চাকরি দেওয়া যেমন অপরাধ, ঠিক তেমনি ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়াটাও সমান অপরাধ হিসেবেই বিবেচিত হয়। আর ঠিক সেই কারণেই এবার শুরু হয়ে গেল ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের গ্রেফতারি প্রক্রিয়া। ৪জন শিক্ষককে আদালতে ডেকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। এই ৪জন শিক্ষক ঘুষ দিয়ে চাকরি নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
চলতি বছরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এই ৪জন শিক্ষকের নাম সাক্ষী হিসেবে চার্জশিটে উল্লেখ করে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Primary Teachers Recruitment Scam Case) মামলায় সেই চার্জশিট কলকাতা হাইকোর্টে দাখিল করে সিবিআই। আর তখনই হাইকোর্টের বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, এই ৪জন শিক্ষককে সাক্ষী হিসেবে দেখানো হয়েছে কেন? এই শিক্ষকদের কাছ থেকে তো আর পার্থ, কুন্তলরা টাকা নিতে যায়নি। এরাই চাকরি পাওয়ার জন্য তাদের হাতে টাকা তুলে দিয়েছে। এদের জন্যই আজ মানুষ ভুগছে।
4 Teachers Arrested in Bengal recruitment scam.
আর তারপরেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারক ঐ ৪ জন শিক্ষককে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। (Primary Teachers Jail Custody) জেলবন্দি ওই ৪ শিক্ষক হলেন জাহিরউদ্দীন শেখ, সৌগত মন্ডল, সাইগল হোসেন এবং সীমার হোসেন। এরা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Primary TET Scam) ধৃত তাপস মন্ডল এর হাতে টাকা তুলে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কে কত টাকা দিয়েছিলেন?
আরও পড়ুন – Teacher Recruitment – রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে, মুখ্যমন্ত্রী নিজে ঘোষণা করে জানালেন।
খোঁজ নিতেই জানা গেল, সাইগল হোসেন দেন ৬ লক্ষ টাকা, জাহিরুদ্দিন শেখ দিয়েছিলেন ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, সৌগত মণ্ডল ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন, আর সীমার হোসেন দেন ৫ লক্ষ টাকা। আরো জানা যাচ্ছে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে ধৃত তাপস মন্ডল মোট ৮জন এজেন্টকে দিয়ে ১৩৬ জন চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে ৩ কোটি ৮৯ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা তুলেছিলেন। এই তাপস মন্ডলের মাধ্যমে এই ৪ শিক্ষক চাকরি পেয়েছেন বলে সিবিআই এর তরফে স্টেটমেন্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়া শিক্ষক গ্রেপ্তার (Teachers Arrested) হলো। এর আগে আদালতের তরফে CBI এবং EDকে প্রশ্ন করা হয়, যারা বেআইনিভাবে টাকা দিয়ে চাকরি নিয়েছেন, তাদের মধ্যে কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে? হাইকোর্ট জানতে চাইলে সিবিআই এবং ইডির তরফে জানানো হয়েছিল, শিক্ষকদের চিহ্নিত করতে সময় লাগছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তবে এই প্রক্রিয়া পুরোটাই সময়সাপেক্ষ।
আর ঘুষ দিয়ে চাকরি নেওয়া শিক্ষক গ্রেপ্তার (Teachers Arrested) করা শুরু করলে তার সংখ্যা প্রচুর হয়ে যাবে। এটাও ঠিক, যদি ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষকদের সকলকেই গ্রেফতার করতে হয়, তাহলে তার সংখ্যাটা যে জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে, তার রীতিমতো চমকে দেওয়ার মতো। এত শিক্ষক যদি গ্রেপ্তার (Teachers Arrested) হয় তা ইতিহাস সৃষ্টি করতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। আর আদৌ সমস্ত ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়া শিক্ষক গ্রেপ্তার হবেন কিনা সেই বিষয়টি নিয়েও রাজ্যজুড়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন – PM Kisan Instalment – PM Kisan এর টাকা পাচ্ছেন না, না পেলে এই কাজগুলি করুন