Advertisement

32000 Primary Teacher Case: ৩২,০০০ শিক্ষক বাতিল মামলায় এলো নতুন মোর

32000 Primary Teacher Case – পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য বড়সড়ো আপডেট দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ মামলা নিয়ে শুনানি ছিল হাইকোর্টে। সকাল থেকেই টানটান উত্তেজনা এবং প্রতীক্ষায় মুখিয়ে ছিলেন রাজ্যজুড়ে চাকরিপ্রার্থীরা। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে মামলাটি।

বিকেল ৩:৩০ মিনিট পর্যন্ত চলে মামলার শুনানি। একের পর এক প্রশ্নোত্তর এবং যুক্তি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে শুনানি তে উঠে আসে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা দিশা বদলে দিতে পারে প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের। যদিও এদিন চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হয়নি, তবে মামলার গতিপ্রকৃতি বলে সেই দিন খুব শীঘ্রই আসছে।

আরও পড়ুন – Kisan Credit Card – কৃষকদের আরও বড়ো খবর! বড় সড় ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার, পাবেন ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত

কি কি বিষয় উঠে এলো 32000 Primary Teacher Case শুনানিতে?

১. অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়ে বক্তব্য

প্রথমেই আদালতে জোরালোভাবে ওঠে অ্যাপটিটিউড টেস্ট সংক্রান্ত বিতর্ক। মামলাকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, এই পরীক্ষার অনেক প্রশ্ন ভুল ছিল, মূল্যায়নের প্রক্রিয়াতেও স্বচ্ছতা ছিল না। রাজ্যের আইনজীবীরা এই অভিযোগ খণ্ডন করতে গিয়ে একাধিক তথ্য উপস্থাপন করেন। কিন্তু বিচারপতিরা প্রশ্ন তোলেন—”এই পরীক্ষার প্রামাণ্য নথিপত্র কি যথেষ্ট?”

২. নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ঘোষণা

এরপরই উঠে আসে নিয়োগে দুর্নীতির (32000 Primary Teacher Case) প্রসঙ্গ। মামলাকারীরা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, মধ্যস্থতাকারী এবং নিয়োগ বোর্ডের কিছু সদস্যের ভূমিকা নিয়ে সরাসরি আঙুল তোলেন। আদালতও এই বিষয়ে কড়া প্রশ্ন তোলে—বিশেষ করে সিবিআই তদন্তে উঠে আসা তথ্য নিয়ে। প্রসঙ্গত, এ বিষয়ে হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই নজরদারি রাখছে।

আরও পড়ুন – SIR 2025 – ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু পশ্চিমবঙ্গে? কাদের নাম বাদ পড়তে পারে?

৩. নিয়োগ প্যানেল নিয়ে আপডেট

একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ছিল—পূর্ণ প্যানেল প্রকাশ না করার পেছনে যুক্তি কী? আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, যদি সত্যিই স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়, তবে প্যানেল প্রকাশে আপত্তি কোথায়? রাজ্যের পক্ষ এই প্রশ্নের সরাসরি জবাব দিতে না পারায় বিচারপতিরা হতাশা প্রকাশ করেন।

৪. ও এম আর মূল্যায়ন

এছাড়া, OMR শিট মূল্যায়নের দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়েও আদালত প্রশ্ন তোলে—এই চুক্তি কি স্বচ্ছ টেন্ডার প্রক্রিয়ায় হয়েছে? তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা কতটা বৈধ ও ন্যায়সঙ্গত?

এই শুনানি ফলে কতটা উপকার হবে চাকরিপ্রার্থীদের?

আজকের শুনানিতে রায় ঘোষণা হয়নি। তবে মামলার প্রতিটি দিক বিচারপতিরা গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং নানা দিক তুলে ধরেছেন। আদালতের সূত্রে জানা গেছে, বিশদ তথ্য ও নথিপত্র বিচার করে পরে চূড়ান্ত রায় জানানো হবে। এখন প্রশ্ন—এই রায় কী পুরো নিয়োগ বাতিল করবে, নাকি কোনো নির্দিষ্ট অংশকে বৈধতা দেবে?
এই মুহূর্তে রাজ্যের হাজার হাজার প্রাথমিক শিক্ষক, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত-অপ্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, চাকরিপ্রার্থী এবং শিক্ষা প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত সবাই চূড়ান্ত রায়ের দিকেই তাকিয়ে।

Related Articles

Back to top button