Primary TET: 2014 সালে টেট পরীক্ষা দিয়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাদের মধ্যে 269 জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি ইতিমধ্যেই বাতিল হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে।এমনকী প্রাথমিক টেট ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্তেরও নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।এদিকে তদন্ত নেমে সিবিআই 2014 সালের টেট পাশ (2014 TET Pass) করা শিক্ষকদের একাধিক নথি চেয়েছে।
ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে 2014 সালের চাকরি প্রার্থীদের নথি (Primary TET) চেয়ে পাঠিয়েছে পর্ষদ৷টেট 2014 নিয়োগে 2017 থেকে 2019 এর সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যারা চাকরি পেয়েছে তদন্তের জন্য তাঁদের নথি লাগবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা দিয়ে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড, সমস্ত শংসাপত্র জমা করতে হবে। চাকরিপ্রাপকদের নিয়োগপত্র এবং ইন্টারভিউ ও কাউন্সেলিংয়ের চিঠিও জমা করতে হবে।
2014 সালের টেট (Primary TET)নিয়োগে প্রায় 23 লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন।তার মধ্যে 42 হাজার প্রার্থীকে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়।সূত্রের খবর এই 42 হাজার শিক্ষকের মধ্যে অধিকাংশই নিয়োগ পেয়েছে বেলাইনে। সেই শিক্ষকদের সংখ্যা প্রায় সাড়ে 17 হাজার। সেই কারনেই 2014 সালের প্রাথমিক টেটে উত্তীর্ণ হয়ে চাকরিতে যোগদানকারী প্রার্থীদের সব আসল তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে আদালত।আর তাতেই সমস্যায় পড়েছেন হাজার হাজার কর্মরত শিক্ষক।
এরই মধ্যে আলিপুরদুয়ার জেলায় পারোকাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় প্রাথমিকের এক শিক্ষককে ঋণ দিতে গিয়ে টেট পাশের নথি চাইলেন উত্তরবঙ্গ ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।আমরা সকলেই জানি ঋণ নিতে গেলে কাগজপত্র সম্পত্তি র কাগজপত্র ব্যাংকের কাছে জমা রাখতে হয়! ঠিক সেই রকমই আলিপুরদুয়ার জেলার এক প্রাথমিক শিক্ষক ঋণ চাইতে গেলে তার কাছ থেকে টেট পাশের নথি দেখতে চাইল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক (Primary TET)।
ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর দিন দশেক আগে আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের একটি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক তাঁদের সলসলাবাড়ি শাখায় ঋণের আবেদন জানাতে গেলে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষকের কাছে টেট পাশের নথি দেখতে চান৷ ওই শিক্ষকদের পাশের নথি দেওয়ার পরেই তাকে ঋণ দেওয়া হয়। যদিও এই নিয়ে উপরমহল থেকে কোনও লিখিত নির্দেশ তাঁদের কাছে এখনও আসেনি।
ওই ব্যাঙ্কের সলসলাবাড়ি শাখার ম্যানেজার সুশান্ত কুমার মারাক ঘটনাটি মেনে নিয়ে বলেন, ইতিমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে হাই কোর্টের একটি নির্দেশ দিয়েছে। তাতে ২৬৯ জনের চাকরি গিয়েছে। সিবিআই তদন্তও চলছে। তাই কোনও রকম ঝুঁকি না নিয়ে আমরা টেট পাশের নথি দেখে তবেই প্রাথমিক শিক্ষকদের ঋণ দিচ্ছি। অবশ্য এই নিয়ে কোনও লিখিত নির্দেশ আমাদের কাছে এখনও আসেনি।
আলিপুরদুয়ার জেলার লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার অশোক কুমার বলেন, এমনটা হয়ে থাকলে তা কেন হচ্ছে, সে ব্যাপারে উত্তরবঙ্গ ক্ষেত্রীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্কের সদর দফতরে কথা বলব। আলিপুরদুয়ার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) সুজিত সরকার বলেন,ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করব, তাঁরা যেন বিষয়টি একটু মানবিকতার সঙ্গে দেখেন।