TET 2014 Court Case: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে একের পর এক নতুন অভিযোগ উঠে আসছে।ফের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ এল। এবার মালদা জেলার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে।ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই প্যানেল অ্যাপ্রুভ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
মালদা জেলার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ২০০৯ সালে বের হয়েছিল। এই সুনির্দিষ্ট বিজ্ঞপ্তির লিখিত পরীক্ষা ২০১০ সালে হয়েছিল।কিন্তু সেই পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাওয়ায় পুনরায় ২০১৪ সালের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। (TET 2014 Court Case) পরের বছর ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এরপর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং সেই প্রক্রিয়া আগস্ট মাস পর্যন্ত চলে।
বিভিন্ন মামলার কারণে প্যানেল প্রকাশে বাধা আসে। তবে ২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর প্যানেল প্রকাশ হয়। নিয়োগ প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে।এবার সেই প্যানেল নিয়েই বড় অভিযোগ উঠে এল। অভিযোগ করা হচ্ছে ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার ৩-৪ মাস আগেই নাকি প্রাথমিকের প্যানেল (TET 2014 Court Case) তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল।
প্যানেল তৈরি করার নিয়ম হল প্রথমে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান প্যানেল (TET 2014 Court Case) তৈরি করে সিল মেরে ডেপুটি ডিরেক্টর অফ স্কুল এডুকেশন এর কাছে পাঠায়। এতে তিনি স্বাক্ষর করে সেটি সিল করে এপ্রুভ করে চেয়ারম্যানকে পাঠিয়ে দেন।কিন্তু এখানে অভিযোগ করা হয়েছে প্যানেলের প্রত্যেক পেজে দেখা যাচ্ছে যে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের দিন ২০১৫ সালের ২৮ শে এপ্রিল। আর ডেপুটি ডিরেক্টর অফ স্কুল এডুকেশন এর স্বাক্ষরের দিন ২০১৫ সালের ১১ জুন।
অর্থাৎ ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল চেয়ারম্যান প্যানেল তৈরি করেছেন এবং ১১ জুন সেটাকে ডেপুটি ডিরেক্টর অফ স্কুল এডুকেশন অ্যাপ্রুভাল দিয়ে চেয়ারম্যানকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। (TET 2014 Court Case) কিন্তু এদিকে ২০১৫ সালের ৭ অগাস্ট পর্যন্ত ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া চলেছে। এর অর্থ হল ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার ৩-৪ মাস আগেই প্যানেল তৈরি হয়ে গিয়েছিল এবং সেটাকে অ্যাপ্রুভও করে দেওয়া হয়েছিল।
কলকাতা হাইকোর্টেই এই বড় দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আনা হয়েছে। (TET 2014 Court Case) কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলার শুনানিতে বিস্ময় প্রকাশ করেন। উভয় পক্ষের হলফনামা জমা নেওয়া হয়েছে।জানা গিয়েছে চার সপ্তাহ পরে ফের এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি হবে।