Nijo Griha Nijo Bhumi Scheme – নতুন এই প্রকল্পে আবেদন করলে জমির সঙ্গে বাড়িও পেয়ে যাবেন! এই প্রকল্পে কি, ও আবেদন সমন্ধে বিস্তারিত জেনে নিন। নিজের পায়ের তলায় এক টুকরো জমি থাকবে আর মাথা গোজার মত একটা ঠাঁই মানে বাসস্থান থাকবে! এই স্বপ্ন সকলেরই থাকে। অর্থাৎ সবাই চায় তার নিজের জমিতে একটি বাড়ি থাকুক। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও অনেকেই নিজের এই স্বপ্নকে পুরন করতে পারেন না।
কারন বর্তমানে অর্থনীতির যা হাল তাতে সংসার চালানোই কষ্টকর হয়ে পরে,তার ওপরে নিজের জমিতে মনের মত একটা বাড়ি বানানোর স্বপ্ন যেন অধরাই থেকে যায়। অর্থের অভাবে নিজের বাড়ি বানানোর স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন না। তবে এবার আশ্রয়হীন ও দরিদ্র মানুষদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছে সরকার (Nijo Griha Nijo Bhumi Scheme). আশ্রয়হীন ও দরিদ্র মানুষদের যাতে নিজের বাড়ি থাকে সেই জন্য এগিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার।
গরিব, জমিহীন মানুষেরাও যাতে মাথার ওপর পাকা ছাদ পান এবং স্বস্তিতে বাঁচতে পারেন সেই জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার এক প্রকল্প শুরু করেছেন। এই প্রকল্পের (Nijo Griha Nijo Bhumi Scheme) মাধ্যমে রাজ্য সরকার একেবারে বিনামূল্যে জমির মালিকানা দেবে। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের নাম হল ‘নিজ গৃহ নিজ ভূমি’ (Nijo Griha Nijo Bhumi Scheme) প্রকল্প।
আরও পড়ুন – এবারে প্রতি মাসে রাজ্য সরকারের থেকে পাবেন ১৫০০ টাকা!
যে সব দরিদ্র কৃষক বা মেহনতী মানুষ তাদের জীবনের সঞ্চয় দিয়েও এক টুকরো জমিতে নিজের বাড়ি তৈরি করতে পারেন না তারা যাতে এই প্রকল্পের (Nijo Griha Nijo Bhumi Scheme) মাধ্যমে নিজের আস্তানা খুঁজে পান, সেজন্যই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে সাধারণ মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প শুরু করা হয়েছে। আর এবার গ্রাম বাংলার খেটে খাওয়া আশ্রয়হীন মানুষদের সাহায্য করার জন্য এই প্রকল্পের রূপায়ণ করা হয়েছে। কারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন,আবেদন করবেন কিভাবে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।
প্রকল্পের নাম ও এই প্রকল্প কবে চালু হয়েছে।
এই প্রকল্প নাম “নিজ গৃহ নিজ ভূমি” (Nijo Griha Nijo Bhumi Scheme) এই প্রকল্প কবে চালু হয়েছে রাজ্য ভূমি ও ভূমিসংস্কার এবং উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পুর্নবাসন দফতরের উদ্যোগে ২০১১ সালের ১১ অক্টোবর এই প্রকল্প চালু করা হয়।
এই প্রকল্প (Nijo Griha Nijo Bhumi Scheme) চালু করার উদ্দেশ্য কি?
গ্রাম বাংলায় এমন অনেক খেটে খাওয়া মানুষ আছে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেও এখনও পর্যন্ত এক টুকরো জমির মালিক হতে পারেননি। সেই সমস্ত মানুষদের বসতবাড়ির স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে।
এই প্রকল্পে কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে –
- ১) কৃষি শ্রমিক, কারিগর ও জেলেদের পরিবারকে প্রতি পাঁচ ডেসিমেল জমির মালিকানা দেওয়া হবে।
- ২) ৫ ডেসিমেল জমির পাশাপাশি সেই জমিতে বাড়িও করে দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের তরফে। সেই সঙ্গেই আয়ের জন্য ওই জমিতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হবে ।
এই প্রকল্পে কারা আবেদন জানাতে পারবেন।
- ১) কৃষিকার্যের সঙ্গে যুক্ত সকলেই এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন।
- ২) প্রাণীপালন, মৎস্য চাষ, হস্ত ও কুটিরশিল্প প্রভৃতি চিরাচরিত পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষও এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন।
- ৩) তফসিলি জাতি ও উপজাতির অন্তর্গত কৃষক, মজুর, কুটিরশিল্পী ও মৎস্যজীবী পরিবারও এই প্রকল্পে আবেদন জানাতে পারবেন।
- ৪) চা বাগানের শ্রমিকরাও এই প্রকল্পে (Nijo Griha Nijo Bhumi Scheme) আবেদন জানাতে পারবেন।
এই প্রকল্পের (Nijo Griha Nijo Bhumi Scheme) সুবিধা পাওয়ার কিছু শর্ত।
সরকারের তরফে যে জমিগুলো প্রদান করা হবে তার নির্দিষ্ট কিছু মাপকাঠি থাকা আবশ্যক। যেমন-
১) সেই জমি বসবাসের উপযুক্ত হতে হবে।জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম পরিষেবাগুলি যেমন রান্নাঘর, পশুপালনের জায়গা, বাগান ইত্যাদির জায়গা রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হবে।
২) সুষ্ঠু নিকাশি ব্যবস্থা, পানীয় জল, আলো ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকতে হবে।
৩) নদীর কাছে বা প্রাকৃতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় এই প্রকল্পের অধীনে বাড়ি করা হবে না।
এই প্রকল্পে কীভাবে আবেদন করবেন দেখুন।
নিজ গৃহ নিজ ভূমি প্রকল্পে আবেদন করার জন্য স্থানীয় বিএলআরও (BLRO) অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। এই প্রকল্পে বাড়ি ও জমির মালিকানার পাশাপাশি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ, জলের লাইনের কানেকশন সবই রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি পেশার জন্য জমিতে পুকুর খনন করা, হস্তশিল্প ও কুটির শিল্পের কাজের জন্য কাঁচামাল কিনে ওয়ার্কশপ তৈরি করে দেওয়ার মত কাজও রাজ্য সরকার করবে।
আরও পড়ুন – Electric Bill – আর দিতে হবে না বিদ্যুৎ বিল! জনসাধারণকে বিদ্যুৎ বিল থেকে মুক্তি দিল সরকার।