নিউজ ডেস্কঃ গৃহবধূর স্নানের নগ্ন দৃশ্য মোবাইল বন্দি করে এক যুবক। এরপর সেই ছবি ও ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে ওই মহিলার উপর চলে শারীরিক অত্যাচার। এমনই অভিযোগ প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা থানার পায়াগ্রামে। গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে দিঘা এলাকায়। অভিযুক্ত যুবকের নাম বিশ্বজিৎ মণ্ডল। অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে।
রবিবার অভিযুক্তকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তার জামিন খারিজ করে দিয়েছেন। আর পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে নির্যাতিতার গোপন জবানবন্দি নেন কাঁথি আদালতের বিচারক।ওই মহিলার অভিযোগ দিনের পর দিন ভিডিও ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্বামীর অনুপস্থিতিতে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে চলছিল অভিযুক্ত যুবক৷ লোকলজ্জার ভয়ে আড়াই বছর ধরে এই অত্যাচার সহ্য করে গিয়েছেন ওই গৃহবধূ। ধর্ষণের কথা কাউকে বলতে পারেননি মুখ ফুটে। অবশেষে তার ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে, তিনি সব কথা বলে দেন তাঁর স্বামীকে।এরপরেই তাঁরা দ্বারস্থ হন থানায়।
গৃহবধূ দিঘা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গৃহবধূর অভিযোগ ব্ল্যাকমেল করে শরীর ভোগের পাশাপাশি সোনার গহনা, নগদ টাকাও জোর করে নিয়ে যাচ্ছিল ওই যুবক।ফের ২৮ মার্চ বাড়িতে হাজির হয়ে চলে শারীরিক অত্যাচার। পাশাপাশি তার গলার সোনার চেন ছিনিয়ে নেয় সেই যুবক। অভিযুক্ত যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করে এবং বাজেয়াপ্ত করেছে তার মোবাইলটি।
পুলিশ সূত্রে খবর দিঘা পায়া গ্রামের যুবক বিশ্বজিৎ মণ্ডলের যাতায়াত ছিল এই বাড়িতে।একদিন যুবক ওই বাড়িতে ঢুকে দেখেন বাথরুমের দরজা খোলা এবং স্নান করছেন গৃহবধূ। বাড়ির সদর দরজা বন্ধ থাকলেও তা ভিতর থেকে ছিটকিনি দেওয়া ছিল না।তাই বাড়িতে ঢুকে ওই যুবক মোবাইলে গৃহবধূর নগ্ন স্নানের দৃশ্য ভিডিয়ো করে। এরপর সেই ভিডিও দেখিয়েই চলছিল যৌন অত্যাচার।