কালীপুজোর মধ্যে সুপার সাইক্লোন সিত্রাং (cyclone sitrang) বঙ্গে আছড়ে পড়তে পারে বলে কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছে। কানাডা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল দীপাবলির সময় সুপার সাইক্লোন আছড়ে পড়বে। কিন্তু আলিপুর হাওয়া অফিস এই সুপার সাইক্লোন আছড়ে পড়ার খবরকে খন্ডন করে দিয়েছে। তবে সম্প্রতি আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে শনিবার একটি সাইক্লোন তৈরি হবে।
আন্দামান সাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত বৃহস্পতিবারই নিম্নচাপের রূপ নিতে পারে এবং এরপর আরও শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ২২ অক্টোবরের পর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে এমনটাই পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। যদিও তা রাজ্যের উপর কতটা প্রভাব ফেলবে সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
সামনেই কালীপুজো এবং ভাইফোঁটা। তার মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস। কালীপুজো এবং দীপাবলির সময়ই এই সুপার সাইক্লোন সিত্রাং আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও এই সাইক্লোন কতটা শক্তিশালী হবে সেই সম্পর্কে এখনো পর্যন্ত হাওয়া অফিসের তরফ থেকে সেভাবে কোন রকম বার্তা দেওয়া হয়নি। ঝড়ের গতিবেগ সম্পর্কে স্পষ্ট কোন বার্তা পাওয়া না গেলেও ল্যান্ডফলের সময় এর গতিবেগ ঘন্টায় ২০০ কিলোমিটার হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আগেভাগেই সতর্কতা অবলম্বন করার কথা জানিয়েছে নবান্ন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জেলাগুলিতে এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে বিশেষ সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। কালীপুজোর প্যান্ডেলগুলির পরিকাঠামো যাতে কোনওভাবেই দুর্বল না হয় সেজন্য দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলা উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং হুগলীকে। এই তিন জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়াও পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ক্ষেত্রেও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কালীপুজোয় যে কোনও ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর রয়েছে প্রশাসন।
সাইক্লোন সিত্রাং কবে তাণ্ডব চালাবে?
আগামী ২১ অক্টোবর থেকে সাইক্লোন তাণ্ডব চালাতে পারে। ২২, ২৩, ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত এই সাইক্লোনের প্রভাবে বৃষ্টি হতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশ দাস বলেছেন একটি সাইক্লোন তৈরি হচ্ছে। তবে এখনই এর গতিবিধি কিংবা কোন রাজ্যের উপকূলে এটি আছড়ে পড়তে চলেছে তা বলা সম্ভব নয়। এখনও বেশ খানিকটা সময় রয়েছে। তাই ঘণ্টায় কত কিলোমিটার বেগে এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে তা নিয়েও এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। আগামী দুএক দিনের মধ্যেই এই বিষয়ে জানা যাবে।