Ayushman Card – কেন্দ্রীয় সরকার গরিব ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষদের জন্য আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু করেছেন। এই প্রকল্পের আওতায় কেন্দ্রিয় সরকার সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ প্রদান করেন। বর্তমানে এই আয়ুষ্মান ভারত যোজনা (Aushman Bharat Yojana) বিশ্বের সর্ববৃহৎ হেলথ স্কিমের স্বীকৃতি পেয়েছে। প্রায় ৫০ কোটি ভারতবাসী আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করে এই প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন।
আয়ুষ্মান ভারত (Ayushman Card) প্রকল্প কি?
ভারতবাসীর চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচের চিন্তা দূর করতে কেন্দ্রিয় সরকার ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এই প্রকল্প চালু করেছেন। এই প্রকল্প চালু হওয়ার পর থেকে বিগত পাঁচ বছরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে প্রায় ১,৩৫০ টি অসুখের চিকিৎসার খরচ পেয়েছেন সাধারণ মানুষ।
এই প্রকল্পের আওতায় কত টাকা দেওয়া হয় ?
কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবার পিছু বছরে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচের যাবতীয় দায়ভার বহন করেন।হাসপাতালে ভর্তি থেকে শুরু করে প্যাথলজিকাল টেস্ট, প্রাইভেটে ডাক্তার দেখানো, ওষুধ কেনা, হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার ১৫ দিন পর্যন্ত চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় খরচ রোগীর পরিবার বিনামূল্যে পান।
Ayushman Card নিতে কারা আবেদন করতে পারবেন ?
- ১) নিম্ন শ্রেণির পাশাপাশি সকল তপশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত পরিবার এইবআয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।
- ২) এছাড়াও যারা শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী বা যাদের পরিবারে কোনও প্রতিবন্ধী সদস্য আছে তারাও এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন।
- ৩) যারা কোন রকমে জীবন যাপন করছেন, নির্দিষ্ট কোন আয় নেই তারাও এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন।
আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে (Aushman Bharat Yojana) আবেদন পদ্ধতি ?
বাড়িতে বসে খুব সহজেই এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারেন।যেভাবে আবেদন করবেন-
১) প্রথমে এই https://bis.pmjay.gov.in/BIS/se IfprintCard ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
২) এরপর only Aadhaar অপশনে ক্লিক করে নিজের রাজ্যের নাম সিলেক্ট করে নিজের আধার নম্বর লিখে সাবমিট করতে হবে।
৩) এরপর আধারের সঙ্গে সংযুক্ত মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি আসবে। সেই ওটিপি সঠিক জায়গায় বসাতে হবে।
৪) এরপর সাবমিট করলেই আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আবেদন সম্পন্ন হয়ে যাবে।
Ayushman Card এর আবেদনের জন্যে প্রয়োজনীয় নথি লাগবে
১) আবেদনকারীর আধার কার্ড/প্যান কার্ড,
২) আবেদনকারীর বয়সের প্ৰমাণপত্ৰ,
৩) স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার প্রমাণপত্র,
৪) পারিবারিক আয়ের প্রমাণপত্র,
৫) পরিবারের বর্তমান পরিস্থিতির প্রমাণপত্র (আপনার পরিবার যৌথ পরিবারের বা জয়েন্ট ফ্যামিলি নাকি নিউক্লিয়ার ফ্যামিলি তা সম্পর্কে উল্লেখ করতে হবে),
৬)জাতিগত শংসাপত্র (যদি প্রয়োজন হয়)।
আরও পড়ুন – Duare Saree Scheme – বাংলায় ‘দুয়ারে শাড়ি” কর্মসূচি চালু হচ্ছে! পুজোর আগে সবাইকে পোশাক দেবে সরকার