Krishak Bandhu – কৃষক বন্ধুদের জন্য রাজ্য সরকারের নয়া উদ্যোগ। কৃষকদের যাতে আরো একটু বাড়তি সুবিধা দেওয়া যায় তার জন্যই রাজ্য সরকার সদা সর্বদা চেষ্টা করে যান। আগামী মরশুমে কৃষকদের জন্য বেশ ভালো উদ্যোগ নিয়েছে সরকার আসুন জেনে নেব সেই সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে, যাতে করে কৃষকদের মুনাফা কিছুটাও বাড়বে।
আমাদের রাজ্য কৃষি নির্ভর, জনসংখ্যার বেশিরভাগই কৃষি কাজের সাথে যুক্ত, তাই কৃষক বন্ধুদের সুবিধার্থে আগামী দিনের ধান বিক্রির সুবিধা দেওয়া হবে। এবার থেকে কৃষকদের আর ধান বিক্রি করতে দূরে মার্কেটে যেতে হবে না, এমনকি মার্কেটে তৎকালীন দাম সম্পর্কেও জানা না থাকলে কোন রকম কোন সমস্যায় পড়বেন না কৃষকরা। এতদিন পর্যন্ত কৃষকরা ধান বিক্রির জন্য ছোটাছুটি করতেন, এবার বাড়িতে বসেই তা সম্ভব অনলাইন এর মাধ্যমে। ধান বিক্রির টাকা সরাসরি ব্যাংক একাউন্টে (Bank Account) পেয়ে যাবেন কৃষকেরা।
Krishak Bandhu -এর জন্য নতুন কি খবর মিলছে?
সামনেই আমন ধানের মরশুম। মরশুমের শুরুতেই এমন খবরে খুশি কৃষকরা। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ধান কেনার সিপিসি সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে এবং এরই পাশাপাশি মোবাইল সিপিসির সংখ্যাও সরকারিভাবে বাড়ানোর দিকে নজর দেয়া হয়েছে, যাতে অত্যন্ত গ্রামীণ এলাকাতেও কৃষকরা খুব সহজে ধান বিক্রি করতে পারেন এবং কোনরকম কোন লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত না হন সেই দিকেও সরকারি নজরদারি দেওয়া হবে। প্রত্যেক জন Krishak Bandhu যাতে উপকৃত হতে পারেন।
Krishak Bandhu -এর নতুন ফসলের দাম।
তথ্য মারফত জানা গিয়েছে সম্প্রতি মালদায় ২৫ টি সিপিসি সেন্টার ও দশটি মোবাইল সিপিসি সেন্টার থেকে ধান ক্রয় করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত মরশুমে এই ধান ক্রয় করবার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল মোট ৩ লক্ষ ৫৪ হাজার মেট্রিক টন, সেখানে ধান ক্রয় করা সম্ভব হয়েছে মাত্র ২ লক্ষ ৬৮ হাজার। আগামীদিনে হয়তো এই সংখ্যা আরো বাড়বে বলেই সকলে আশাবাদী।
কৃষকরা অনলাইনের মাধ্যমে ধান বিক্রির স্লট বুকিং করতে পারবেন। এরই পাশাপাশি কৃষক বন্ধুদের জন্য সরকারি সহায়ক মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে ধানের দাম। প্রতি কুইন্টাল ধানের দাম পাবেন ২৩০০ টাকা যে খবর শোনার পর কৃষক বন্ধুদের (WB Krishak Bandhu) মধ্যে খুশির মেজাজ। এক কথায় বলতে গেলে রাজ্য সরকারের এহেন উদ্যোগে কৃষকদের মনে ভরসা জাগিয়েছে যাতে তারা আবারও এই কৃষি কাজের মূল স্রোতে ফিরতে পারেন।