Laxmi bhandar – রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের জন্য একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মহিলাদের স্বাবলম্বী করার জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের (Laxmi Bhandar) সুচনা করেছেন। এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আওতায় তফশিলি জাতি কিংবা উপজাতি মহিলাদের মাসে ১০০০ টাকা আর সাধারণ শ্রেনির মহিলাদের মাসে ৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়। বিধবাদেরও এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। যাঁরা বিধবা ভাতা পান, তাঁরা এখন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের (Laxmi Bhandar) আর্থিক সাহায্য পান৷ মহিলাদের জন্য চালু করা এই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প রাজ্য জুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
এবার এই লক্ষ্মীর ভান্ডার (Laxmi Bhandar) নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বিধানসভায় এক দাবি করে বসলেন। তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য শুনে বিধানসভায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এদিন বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে তৃণমূল হুমায়ুন কবীর বলেন রাজ্যে মুসলিম মহিলাদের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়, তাই মুসলিম মহিলাদের লক্ষ্মীর ভান্ডারে ১ হাজার দেওয়া যায় কি?
আরও পড়ুন – Star Mark Note – হাতের ৫০০ নোটে স্টার মার্ক রয়েছে? যা করতে হবে, জানালো RBI
হুমায়ন কবীর রীতিমত প্রতীচী স্ট্রাস্টের রিপোর্ট পেশ করে তিনি বলেন রাজ্যে মুসলিম মহিলাদের আর্থিক অবস্থা সত্যি খুব খারাপ৷ শুধু আমি বলছি বলে নয় বিভিন্ন সার্ভে থেকে দেখে নিতে পারেন। স্বাধীনতার পর সরকার থেকে কোনও সমীক্ষা হয়নি। যদি ওবিসি মুসলিম মহিলাদের আর্থিক সাহায্য করার জন্য ১ হাজার টাকা করে দেওয়া যায়।তাহলে মুসলিম মহিলারা কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন।
তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের প্রশ্নের জবাব দিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। হুমায়ন কবীরের এহেন বক্তব্যের ভিত্তিতে মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন ধর্মীয়ভাবে ১ হাজার বা পাঁচশো (Laxmi Bhandar) করা হয়নি। এটা এসএসসি, এসটি ও জেনারেল হিসেবে করা হয়েছে। প্রান্তিক মানুষের জন্যই করা হয়েছে। মন্ত্রী শশী পাঁজা আরও বলেন রাজ্যের মুসলিম মহিলাদের আর্থিক অবস্থা সত্যিই খারাপ কি?
বিধানসভায় ভোট সংক্রান্ত আলোচনাও হয়েছে। হুমায়ুন কবীর বলেছেন গোটা রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দিনভর অশান্তি চলেছে। এত মানুষ খুন হয়েছে, যা আটকানো যায়নি। আমরা সাধারণ মানুষের জন্য সাহায্য পৌঁছে দিতে পারেনি, এটা আমাদের সবার ব্যর্থতা। যাঁরা বিরোধী দল ছিল তাঁদেরও দায়িত্ব ছিল যাতে মানুষের মৃত্যু না হয়। এদিন বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও মন্ত্রী শশী পাঁজার মধ্যে এহেন প্রশ্নোত্তর পর্ব চলে।তাদের এই ধরনের ব্যাখ্যা বিভ্রান্তি তৈরি করেছে।