Government Schemes: অতি প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ কৃষিকাজ ও পশুপালনকে জীবিকা হিসেবে গ্রহন করেছেন। তবে আধুনিক যুগে কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীলতা কমলেও এখনও অনুন্নত দেশগুলোর বেশীর ভাগ মানুষই কৃষি ও পওপালনের উপর বেশী নির্ভরশীল। পৃথিবীর সব দেশেই কমবেশী কৃষিকাজ আছে এবং ভবিষ্যতেও তা থাকবে।
গ্রামের দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া মানুষেরা সাধারণত চাষবাসের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পরিবারের আয় বাড়ানোর পথ হিসাবে প্রাণী এখনও কৃষির পরের স্থানেই রয়েছে। অন্যান্য সম্পদের মতোই প্রাণীও মানুষের কাছে একটি সম্পদ। গৃহপালিত প্রাণী সম্পদের মান বাড়ানো হলে পরিবারের আয়ও বাড়বে।কেউ হয়ত নিজের শখ পুরনের জন্য আবার কেউ হয়ত পরিবারের আয় বাড়ানোর জন্য গরু, ছাগল, মোষ, ভেড়ার মতো গৃহপালিত পশু পোষেন।
আরও পড়ুন – DA Latest News Today – রাজ্য সরকারি কর্মীদের বর্ধিত ডিএ দেওয়া হবে জানাল নবান্ন।
বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় পশুপালনকে আয়ের সবচেয়ে শক্তিশালী উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তাই পশুপালনের মাধ্যমে কৃষকদের আয় বাড়ানোর জন্য সরকার ফ্রিতে দুটি গরু মোষ দেবে। ভাবছেন তো ফ্রিতে দুটি গরু মোষ পাবেন কিভাবে? কোন সরকার আবার বিনামুল্যে গরু মোষ দেবে। হ্যা ঠিকি শুনছেন পশুপালনের মাধ্যমে কৃষকদের আয় বাড়ানোর জন্য মধ্যপ্রদেশ সরকার গরু -মোষ দেবেন।
মধ্যপ্রদেশ সরকার আদিবাসী সমাজের বেকার মানুষকে পশুপালনের সঙ্গে যুক্ত করার কাজ করছে।মধ্যপ্রদেশে আদিবাসী সমাজের উন্নতির জন্য সরকার যুবকদের এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত করছে। রাজ্যের বাইগা ভারিয়া ও সাহারিয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে পশুপালনের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাইগা ভারিয়া ও সাহারিয়া সম্প্রদায়ের সাথে যুক্ত পরিবারগুলোকে বিনামূল্যে দুটি গরু মহিষ বা গরু দেওয়া হবে।
এছাড়াও পশুখাদ্য থেকে শুরু করে যাবতীয় খরচের ৯০ শতাংশ সরকার দেবে। সরকারের এই পদক্ষেপ শুধু রাজ্যে পশুপালন বাড়াবে না,এর পাশাপাশি উপজাতিরা বেকার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। মধ্যপ্রদেশ পশুপালন দফতরের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে সরকারের এই সিদ্ধান্তের তথ্য দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে দুধের উৎপাদন বাড়াতে এই সিদ্ধান্তগুলি আগেও নেওয়া হয়েছিল। মধ্যপ্রদেশ স্টেট কো-অপারেটিড ডেইরি ফেডারেশন এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার এমওইউ অনুসারে মধ্যপ্রদেশের কৃষকদের এখন দুগ্ধজাত পশু কেনার জন্য কোনও গ্যারান্টি ছাড়াই ১০ লক্ষ পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে। এতে রাজ্যে দুধের উৎপাদন বাড়বে। এমওইউ অনুসারে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় নির্বাচিত ৩ থেকে ৪ টি ব্যাঙ্ক শাখা থেকে ২,৪, ৬ এবং ৪টি দুগ্ধজাত পশু কেনার জন্য ঋণ দেওয়া হবে।
সরকারের এই সাহায্যের ফলে আদিবাসী সমাজের কি কি উন্নতি হবে?
সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে শুধু রাজ্যে পশুপালন বাড়বে তাই নয়, এর পাশাপাশি উপজাতিরা বেকার সমস্যা থেকেও মুক্তি পাবে। বেকার যুবক-যুবতীরা নিজেরা রোজগার করতে সক্ষম হবে।এরফলে আদিবাসী সমাজের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থারও উন্নতি হবে।