Primary TET 2014 case: প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য।২০১৪ সালের টেট পাশ করে প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকুরিরত শিক্ষকদের এই মুহুর্তে চিন্তার অবকাশ নেই। দুর্নীতিতে বিদ্ধ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ তদন্তে সিবিআই ২০১৪ সালে টেট পাশ (2014 tet pass) শিক্ষকদের দশ নথি জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন আর তাতেই চিন্তার ভাঁজ শিক্ষকদের।
২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় এবং টেট পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালের ১১ই অক্টোবর তারিখে। প্রায় ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এরপরে প্রায় এক বছর পরে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মেধাতালিকা (Merit List) প্রকাশ করা হয়। ফের একবছর পরে ২০১৭ সালের ৪ই ডিসেম্বর দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয় সংসদের তরফে এবং ৪২,০০০ জনকে প্রাইমারি শিক্ষক পদে নিযুক্ত করা হয়।
চাকরি প্রার্থীদের মতে দ্বিতীয় প্যানেল তৈরীর উদ্দেশ্যই ছিল অসৎ। অযোগ্য প্রার্থীদের নাম মেধাতালিকার অন্তর্ভুক্ত করা। এই তালিকা থেকেই ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।এমনকি টেট ঘিরে দুর্নীতির (Primary TET 2014 case) অভিযোগের তদন্তও যায় সিবিআইয়ের হাতে।২০১৪ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই।
হাজারো মামলার গেরোয় জড়িয়ে রয়েছে সে বছরের নিয়োগ প্রক্রিয়া।একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে।২০১৪ সালের টেট নিয়োগে (Primary TET 2014 case) এই ৪২,০০০ জনের মধ্যে প্রায় ১৭,০০০ শিক্ষকই বেনিয়মের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন।এই ২৬৯ জনের এই তালিকা তো হিমশৈলের চূড়ামাত্র; এর পেছনে বহু বাঘাযতীন লুকিয়ে রয়েছে।
তদন্তে উঠে এসেছে যে, ২৬৯ জন নয়, ২৭৩ জনকে অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছে। যদিও প্রশ্নপত্রে ভুলের কারণে এই অতিরিক্ত নম্বরের দাবি জানিয়েছিলেন ২৭৮৭ জন।কিন্তু বেছে বেছে দুর্নীতিগ্ৰস্থ প্রার্থীদের অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অনেকে তো আবার সাদা খাতা জমা দিয়েও দিব্যি চাকরি পেয়ে গিয়েছে।
এবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ৪২০০০ নিয়োগ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চাইলেন প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাস। উল্লেখ্য বাগদা ‘রঞ্জন’ নামটিকে তিনিই সর্বপ্রথম জনসমক্ষে নিয়ে এসেছিলেন। এমনকি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি কান্ডে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারা তৈরি বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরির বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এই প্রাক্তন সিবিআই কর্তা।
এই প্রাক্তন সিবিআই কর্তার পরামর্শে কলকাতা হাইকোর্ট বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করেছে। এবার উপেনবাবু প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary TET 2014 case) সংক্রান্ত তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় চাইলেন। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ (Primary TET) সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চেয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে বিস্তারিত পোস্ট করেছেন। প্রথমেই তিনি তার স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে প্রণাম জানিয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন। এছাড়া তিনি লিখেছেন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তিনি প্রায় দেড় কোটি মানুষের কাছে শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য এবং অভিনন্দন পেয়েছেন।
সেই সমস্ত মানুষের কাছে তিনি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এরপর উপেন বাবু সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটিতে লিখেছেন -‘আমি একটি পরিসংখ্যান খুঁজছি। খুবই জরুরী দরকার। ২০১৪ সালের ৪২০০০+ প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের মধ্যে কত ভাগ তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর লোকের চাকরি পেয়েছেন।