Primary TET news Today: ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থী।২০১৭ সালের জুলাই মাসে এর তালিকা প্রকাশ করা হয়।বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান প্রাথমিকে ২০১৭ সালে দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকা সম্পূর্ণ বেআইনি (Primary TET news Today)।নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দিতে বলেন তিনি।
এরপর কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ যে দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকা প্রকাশ করে, তা বেআইনি। প্রাথমিক টেট ২০১৪ (Primary TET 2014) দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্ট ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত নির্দেশ দিয়েছে।এই ২৬৯ জনের নামের সম্পূর্ণ লিস্ট সামনে না এলেও কিছু কিছু জেলার লিস্ট স্যোসাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল।
ওই লিস্টে অনুযায়ী পাঁশকুড়া থানার মাংলই প্রাথমিক স্কুল থেকে একসঙ্গে দুজন শিক্ষক শিক্ষিকা চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন। এর ফলে এর প্রভাব পড়েছে স্কুলের স্বাভাবিক পঠন পাঠনে। অবিলম্বে অতিরিক্ত শিক্ষক দেওয়ার জন্য অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই স্কুলের টিচার ইনচার্জ মৌসুমী আদক।এমনকি ওই বিষয়টি জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সভাপতি নজরে নিয়ে আসা হয়েছে।
২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট পরীক্ষার মাধ্যমে নিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মোট ৩০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হয়েছে(Primary TET news Today)।হাইকোর্টের রায়ের ফলে পাঁশকুড়া থানার মাংলই প্রাথমিক স্কুলের দুজনের চাকরি চলে যায়। ওই স্কুল থেকে বরখাস্ত হয়েছেন নবকুমার বেরা এবং পারমিতা মন্ডল নামের দুজন শিক্ষক শিক্ষিকা।
ওই বিদ্যালয় মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা 137 জন। স্কুলে মোট ছয়টি ক্লাসে ছয় জন শিক্ষক শিক্ষিকা ছিলেন(Primary TET news Today)। হাইকোর্টের রায়ের পর এখন শিক্ষক শিকার সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে চারে। এর ফলে শিক্ষক শিক্ষিকাদের ক্লাস নিতে অসুবিধা হচ্ছে। কোন শিক্ষক শিক্ষার ছুটি থাকলে সমস্যা আরো বাড়ছে। এই অবস্থায় অতিরিক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা।
এ প্রসঙ্গে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানিয়েছেন গরমের ছুটির আগে পর্যন্ত আমাদের স্কুলে ছয় জন শিক্ষক শিল্পী ছিলেন।কিন্তু হাইকোর্টের রায় এর ফলে দুজন এর চাকরি চলে যায়(Primary TET news Today)। স্কুল খোলার আগেই আমি এ নিয়ে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে জানিয়েছি। চারজন শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়ে স্কুলে ছয়টি ক্লাস চালানো যায় না। অবিলম্বে অন্য জায়গা থেকে শিক্ষক দেওয়ার আবেদন জানিয়েছি।
প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম পর্যন্ত আমাদের মোট ছয়টি শ্রেণি রয়েছে। এর বাইরে সুবিধা অসুবিধার কথা মাথায় রেখে শিক্ষকদেরকে লিভ দিতে হয়। তখন উপস্থিত শিক্ষকের সংখ্যা কমে তিন হয়ে যায়। এই কারণে এই মুহূর্তে প্রাক প্রাথমিকে ঠিকমতো ক্লাস নেওয়া যাচ্ছে না।এর ফলে ক্লাস নিতে খুব অসুবিধা হচ্ছে(Primary TET news Today)।