Primary Tet scam – রাজ্যজুড়ে ২০১৪ সালে যে টেট পরিক্ষা হয়েছিল তাতে ১ লক্ষ ২৫ হাজার চাকরিপ্রার্থী উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। ২০১8 সালের নেওয়া টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে ৪২ হাজার ৫০০ জনকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয়। এই নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের মধ্যে মাত্র ৬ হাজার ৫০০ জন প্রশিক্ষিত ছিলেন আর ৩২ হাজার জন অপ্রশিক্ষিত প্রার্থী ছিলেন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েই বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ৯ বছর আগের সেই টেট পরীক্ষা এবং নিয়োগে দুর্নীতি (Primary Tet scam) হয়েছিল বলে দাবি করে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরা আদালতে মামলা করেন।
চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগ করেন ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার গাইডলাইনে বলা হয়েছিল, প্রশিক্ষিত ব্যক্তিরা (বিএড, ডিএলএড পাস) অগ্রাধিকার পাবেন। কিন্তু ৩২ হাজার জন অপ্রশিক্ষিত প্রার্থীকে চাকরিতে নিয়োগ করা হয়। এমনকি বহু প্রশিক্ষিত প্রার্থীদেরও বঞ্চিত করা হয়েছে। এই মামলাকারীদের থেকে কম নম্বর পেয়ে অপ্রশিক্ষিত অনেকেই চাকরি পেয়েছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এমনকি ইন্টারভিউয়ে অ্যাস্টিটিউড টেস্ট নেওয়ার কথা থাকলেও বহু ক্ষেত্রে তা নেওয়া হয়নি। ইচ্ছামত নম্বর দেওয়ার অভিযোগও ওঠে।
আরও পড়ুন – Municipal Recruitment – মাধ্যমিক পাশ যোগ্যতায় রাজ্যের পৌরসভা অফিসে গ্রুপ-C পদে কর্মী নিয়োগ।
Primary Tet scam 2014.
মামলাকারীরা এও অভিযোগ করেন অর্থের বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন ক্ষমতাশালী দল তৃণমূল কংগ্রেসের মন্ত্রী, রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তা এবং প্রভাবশালী তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ উঠে। একাধিক দুর্নীতির অভিযোগের কারনে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল (Primary Tet scam) করে দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর কারন হল এই চাকরি প্রার্থীরা প্রশিক্ষণহীন হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের শিক্ষক পদে নিয়োগ করা হয়।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ দেন এই ৩২ হাজার শিক্ষককে নতুন নিয়োগ (Primary Tet scam) প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে হবে। নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে যোগ্যতার পরিচয় দিতে পারলেই এই ৩২ হাজার জনের চাকরি জীবনে কোনও ছেদ পড়বে না। অর্থাৎ তাদের চাকরি খোয়াতে হবে না। এই চাকরিহারারা সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেও পুরোপুরি স্বস্তি মেলেনি।
ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেন আপাতত সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বহাল থাকবে। তাঁরা আগের কাঠামো অনুসারেই বেতন পাবেন। একটি অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়ে ওই ৩২ হাজার শিক্ষককে নতুন করে ইন্টারভিউ দিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে বলা হয়েছে। যদিও এই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে একেবারেই রাজি নন শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশ। তাই তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকদের (Primary Tet scam) ভাগ্য অনিশ্চয়তার মুখে রয়েছে। এবার এই অনিশ্চিত ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের পাশে দাঁড়াল ফরওয়ার্ড ব্লক। ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় বলেছেন কিছু মানুষের কৃত কর্মের দায়ে কখনওই ৩২ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না। তাই আন্দোলনরত প্রার্থীদের চাকরি হোক। যাতে এই ৩২ হাজার মানুষ সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে পারেন।
আরও পড়ুন – Salary hike – সরকারি কর্মীদের সুখবর! মোটা অঙ্কে বাড়ছে বেতন, কাদের বাড়ছে এই বেতন জানুন।