SSC case update – নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে গোটা পশ্চিমবঙ্গ তোলপাড়। সম্প্রতি সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য হাজার হাজার চাকরি বিক্রি হয়েছে রাজ্যে। বেআইনি পথে চাকরি পেয়েছেন অসংখ্য তরুণ-তরুণী। হাইকোর্ট চাকরি বাতিল করেছে প্রায় ২৬ হাজার প্রার্থীর। ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু সবাই কি অযোগ্য? প্রশ্ন উঠেছে তারপরেই। হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার এসএসসি, চাকরিহারাদের একাংশ। সোমবার ছিল সর্বোচ্চ আদালতে মামলার শুনানি। সোমের পর শুনানি পিছিয়েছে মঙ্গলবার। কিন্তু কি জানায় সুপ্রিম কোর্ট? নজর ছিল গোটা রাজ্যের।
সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলা (WB SSC Recruitment Scam) পিছিয়ে যাওয়ার পর বিচারপতি জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার উভয় পক্ষে র কথা শোনা হবে। তবে ইতোমধ্যে যা খবর, মঙ্গলবার এই মামলার বিস্তারিত শুনানির বদলে সংক্ষিপ্ত শুনানি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের মামলা সম্পর্কে কি বলেছে? চাকরিহারাদের ভাগ্যে কী রয়েছে? তারা কি চাকরি ফিরে পেলেন নাকি ফের জটিলতার সম্মুখীন হলেন? সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য জেনে নেওয়া যাক।
মামলার আগের শুনানিতে (ssc case update) বিচারপতি যোগ্য ও অযোগ্য বিচার করার কথা তুলে ধরেন। মঙ্গলের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি বলেন, দুর্নীতি হয়েছে সিস্টেমেটিক। আপাতত সুপ্রিম কোর্টের (supreme court of india) রায় বলছে ২৫,৫৭৩ জনের চাকরি বজায় থাকছে। তবে যারা এখনো চাকরি করবেন, তাদের প্রমাণপত্র জমা করতে হবে। তারা যে যোগ্য, সেই মর্মে প্রমাণপত্র জমা করতে হবে। যদি কোন চাকরি প্রার্থী অযোগ্য বলে প্রমাণিত হন, তবে হাইকোর্টের নির্দেশ মতো সেই প্রার্থীকে এত দিনের চাকরির সম্পূর্ণ বেতন ফেরত দিতে হবে।
মঙ্গলবার এসএসসি মামলার শুনানিতে যোগ্য ও অযোগ্যদের আলাদা করার বিষয়টি উঠে আসে। এই প্রসঙ্গে সর্বোচ্চ আদালত স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) কে জানায়, যদি এসএসসি ডেটাবেস থেকে OMR এর তথ্য না পাওয়া যায় তাহলে যোগ্য ও অযোগ্য বাছাইকরণের দায়িত্ব বর্তাবে সিবিআইয়ের (CBI) হাতে। সিবিআই তথ্যের ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীদের বেছে নেওয়া হবে। যারা অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আভাস মিলেছে। সর্বোচ্চ আদালতের সংক্ষিপ্ত রায় আপাতত স্বস্তির কারণ হয়েছে সবার। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, আগামী ১৬ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেই দিনের অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে।