Voter Card Apply: সকল নাগরিকের গণতান্ত্রিক অধিকার হল ভোটদান। ভোট দান গণতান্ত্রিক অধিকার তো বটেই, এছাড়াও ভারতের বৈধ নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবেও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র ভোটার কার্ড। প্রত্যেক নাগরিকের ভোটার তালিকায় নাম থাকা অত্যন্ত জরুরী। সংবিধান অনুসারে ভারতীয় নাগরিকদের ভোটাধিকারের জন্য ন্যূনত বয়স ১৮ বছর হতে হয়।
ভারতে প্রথম ১৯৯৩ সালে Voter Card চালু করা হয়। ব্যাংক, বিভিন্ন মামলা মোকদ্দমা ও সরকারি সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রেও Voter Card এর গুরুত্ব অপরিসীম। ভোটার কার্ডকে বর্তমানে EPIC Electronic Photo Identity Card হয়। এতদিন কোনও নাগরিকের বয়স ১ জানুয়ারি অনুযায়ী ১৮ বছর হলে তবেই ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারতেন। তবে সেই নিয়মে কিছুদিন আগে বদল হয়েছে।
এখন কোনও ভারতীয় নাগরিক ১৭ বছর বয়সেই ভোটার তালিকায় নাম নথিবদ্ধ করার জন্য অগ্রিম আবেদন করতে পারেন। এর ফলে তরুণ-তরুণীদের আর ১৮ বছর হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। ভোটার তালিকায় নিজের নাম তোলার পদ্ধতি খুব সহজ।বাড়িতে বসে অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন (Voter Card Apply) করবেন কিভাবে সেই পদ্ধতিটি দেখে নিন-
আরও পড়ুন- Job Card List – প্রায় 15 লক্ষ জব কার্ড বাতিল হল, এই তালিকায় আপনার নাম আছে কিনা দেখে নিন।
২০২৩ সালের Voter Card-এর অনলাইন (Voter Card Apply) আবেদনের পদ্ধতিঃ-
১) প্রথমে গুগেল প্লে স্টোরে গিয়ে ‘Voter Helpline App’ টি ডাউনলোড করে নিতে হবে।
২) সকল শর্তাবলি ভালো করে পরে নিয়ে একসেপ্ট করতে হবে।
৩) এরপরে নিজের সুবিধা অনুযায়ী ভাষা বেছে নিতে হবে।
৪) এরপর Voter Registration অপশনে গিয়ে রেজিস্টার করতে হবে।
৫) এরপর নিজের মোবাইল নম্বর দিতে হবে।সেই মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি আসবে,সেই ওটিপি নির্দিষ্ট জায়গায় দিয়ে হবে।
৬) এর সঙ্গে ই মেল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিতে হবে। এরপর আপনার অ্যাকাউন্ট ওপেন হয়ে যাবে।
৭) এই অ্যাকাউন্ট থেকে নতুন ভোটার কার্ডের অ্যাপ্লাই ও ভুল সংশোধন করা যাবে।
৮) New Voter Registration এর জন্য Form 6-এ ক্লিক করতে হবে।
৯) এরপর ‘Yes I Am Applying The First Time’ অপশন সিলেক্ট করতে হবে।
১০) এরপরে নিজের রাজ্য, জেলা, বিধানসভার নাম, জন্মের তারিখ লিখতে হবে।
১১) ১ লা অক্টোবর ২০০৫ এর আগে যারা জন্ম গ্রহণ করেছেন শুধুমাত্র তারাই এই আবেদন করতে পারবেন।
১২) প্রমানপত্র হিসাবে জন্মের সার্টিফিকেট, আধার কার্ড বা প্যান কার্ড আপলোড করতে হবে এবং ২ এম বির বেশি সাইজ হওয়া চলবে না।
১৩) আবেদনকারীর বর্তমানের একটি রঙিন ফটো দিতে হবে।
১৪) নিজের জেন্ডার, নাম, আধার কার্ড নাম্বার, মোবাইল নম্বর, ই মেল লিখে দিতে হবে।
১৫) নিজের অভিভাবকের নাম, বসবাসের ঠিকানা লিখতে হবে।আপনার যে ঠিকানা দিবেন সেই ঠিকানাতেই Voter Card পৌঁছে দেওয়া হবে।
১৬) ঠিকানার প্রমানপত্র হিসাবে আধার কার্ড এর সফট কপি আপলোড করে দেবেন।
১৭) নিজের অভিভাবকের ভোটার কার্ডের নাম্বারও দিতে হবে।
১৮) এরপর পুরো অ্যাপ্লিকেশন ফর্মটি আপনার সামনে চলে আসবে সেটা ভালো করে চেক করে দেখে নেবেন।
১৯) চেক করার পরে সাবমিট অপশনে ক্লিক করে দেবেন এবং সেই রেফারেন্স আই ডি লিখে রাখবেন।যা পরবর্তীতে কাজে লাগবে।
এই ভাবে খুব সহজ পদ্ধতিতে আপনারা ভোটার কার্ডের জন্য আবেদন (Voter Card Apply) জানাতে পারেন। আবেদনের কিছুদিনের মধ্যেই আপনার ঠিকানাতে Voter Card পৌঁছে দেওয়া হবে। আপনিও যদি ভোটার তালিকায় নিজের নাম নথিভুক্ত করতে চান,তাহলে আর দেরি না করে এই সহজ পদ্ধতিতে এক্ষুনি আবেদন করে ফেলুন।