আমজনতাকে সাবধান করল রাজ্য রেশন দপ্তর ,জারি হল নতুন নির্দেশিকা Ration card নিয়ে।
রাজ্য সরকারের খাদ্য দপ্তর থেকে ভারতীয় রেশনিং ব্যবস্থায় জারি হল নয়া নিয়মকানুন। এবার থেকে রেশন পাওয়ার জন্য শুধু রেশন কার্ড – Ration card থাকলেই হবে না। প্রতি মাসে নিয়মিত রেশন পাওয়ার জন্য অবশ্যই মেনে চলতে হবে রেশন সংক্রান্ত নতুন নির্দেশিকা।
এতদিন ধরে মাসিক রেশন তোলার সময় গ্ৰাহকদের বুড়ো আঙুলের ছাপ দিতে হত (Digital System)। এবার থেকে থাকবে নতুন নিয়ম। সেই নিয়ম সঠিকভাবে পালন না করতে পারলে আগামী মাস থেকে বন্ধ হতে পারে আপনার রেশন।
ভারতে মূলত ৫ ধরনের রেশন কার্ড (Ration Card) ব্যবহার করা হয়। যেমন– PHH, AAY, SPHH, RKSY-I, RKSY-II . প্রতিটি কার্ডের (Ration card) রয়েছে আবার প্রকারভেদ। কিন্তু, গোড়ায় গন্ডগোল অর্থাৎ AAY -এর অধীন গ্ৰাহকরা পাচ্ছেন SPHH-এর গ্ৰাহকদের রেশন আবার SPHH -এ নথিভুক্ত গ্ৰাহকদের দেওয়া হচ্ছে AAY-এর গ্ৰাহকদের রেশন।
কেন্দ্রের নির্দেশে PM Kisan Yojana এর প্রকল্পের টাকা ফেরত দিতে হবে রাজ্যবাসীকে।
তথ্য অনুযায়ী, সঠিকরূপে নাম নথিভুক্ত না করার দরুন এমনটা দেখা যাচ্ছে।
উদাহরণ স্বরূপ দেখা যাচ্ছে, অনেকেই (৫ কোটির বেশি) দাবি করেন তারা BPL-এর মূল্যে রেশন (Ration card) থেকে খাদ্যসামগ্ৰী কিনে উঠতে পারেন না, তাদের জন্য ভারতে ২০০০ সালে চালু করা হয়েছিল AAY কার্ড।
এটি মূলত তাদের জন্য যারা পেট ভরে দু’বেলা দু’মুঠো খেতে পান না (মোট জনসংখ্যার প্রায় ৫ শতাংশ)। পরে জানা যায়, অধিকাংশই দু’চাকা বা চারচাকার মালিক এবং নিয়মিতরূপে AAY-এর সুবিধা নিয়ে চলেছেন। কোনো একজন ব্যক্তি যিনি PHH-এ নাম নথিভুক্ত করে মাসের পর মাস নিয়মিত রেশন তুলে যাচ্ছেন।
কিন্তু ঐ ব্যক্তির যদি পাকা ছাদযুক্ত বাড়ি , দু’চাকা / চারচাকা, ট্রাক্টর, মোটর বোট, ট্রলার থাকে কিংবা তিনি যদি সরকারি চাকুরিরত হন, তাহলে তিনি কখনই এই কার্ডের অধীন হতে পারেন না। পাশাপাশি যাদের বাড়িতে ২ Kilowatt -এর অধিক লোডযুক্ত মিটার বা মাসিক ৩০০ Unit -এর বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়, তারাও এই কার্ডের (Ration card) জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
এছাড়া পরিবারে কেউ যদি আয়কর দাতা (Income Tax Payer) হন বা কোনো সদস্য যদি ১০- ১৫ হাজার মাসমাইনের চাকরি করে থাকেন, তাহলেও নাম নথিভুক্ত করা যাবে না। কিন্তু, তথ্য অনুযায়ী, এরকম হাজার -হাজার গ্ৰাহক PHH-এর মাসিক রেশনের সুবিধা নিয়েই চলেছেন।
সুতরাং, এই ধরনের অসৎ আচরণ রুখতে খাদ্য দপ্তরের বিভাগীয় প্রধান রেশনিং ব্যবস্থায় কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছেন। তাই সময় থাকতে প্রত্যেকেরই জেনে না উচিত সেই নয়া নিয়মাবলী, নচেৎ পরে মুশকিলে পড়তে পারেন আপনি খোদ।
নিয়ম না জেনে কেউ যদি দিনের পর দিন এই ভাবে অসদুপায় অবলম্বন করতেই থাকেন, তাহলে পরবর্তীতে তাকে শো-কজ পর্যন্ত করতে পারেন রাজ্য সরকারের খাদ্য দপ্তর বিভাগ। শাস্তিস্বরূপ ফেরত চাওয়া হতে পারে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার থেকে পাওয়া সকল ভর্তুকি।
এবার যারা সবকিছু জেনে-বুঝে বা না জেনে -বুঝে নিয়মিতভাবে রেশনের সুবিধা উঠিয়ে চলেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কেউ চায়লে মামলা করতে পারেন। পরে মামলার শুনানিতে তা সত্য প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ পর্যন্ত গ্রহণ করা হবে।
তবে এখনকার ডিজিটাল যুগে সবকিছুই একে-অপরের সাথে সংযুক্ত (Linked)। সুতরাং, ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল করলে আর রক্ষে নেই। অতএব, এসব অসততা থেকে যত দূরে থাকা যায়, ততই ভালো, কারণ একবার বিপদে পড়লে এর ঝুঁকি ঢের।
এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবরের আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।
Written by Arpita Sen.
সকালের বার্তার নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন সকালের বার্তার গুগল নিউজ, সকালের বার্তা ফেসবুক পেজ, সকালের বার্তা টেলিগ্রাম গ্রুপ ও WhatsApp Group.