Swami Vivekananda Birthday: আজ ১২ই জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। স্বামীজীর জন্মদিন উপলক্ষে আজ বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে যুব দিবস। এবার স্বামীজির ১৬০ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। ১৮৬৩ সালের ১২ই জানুয়ারি এই মহান মনিষী জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। এই মনীষীর প্রতি আমাদের সকলের সশ্রদ্ধ প্রণাম রয়েছে। তাঁর জন্মদিন পালনে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। আজ আমরা স্বামী বিবেকানন্দের স্মরণীয় কয়েকটি বাণীর দিকে চোখ রাখব। আর সেই গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলি আমাদের ধমনীর রক্ত সঞ্চালনকে বাড়িয়ে দেয় সামনের দিকে এগিয়ে চলার অনুপ্রেরণা জাগায়।
162th Swami Vivekananda Birthday
শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) গুরুদেব। রামকৃষ্ণের কাছে স্বামী বিবেকানন্দ শিখেছিলেন সকল জীবের মধ্যেই ঈশ্বর বাস করে তাই জীবের সেবা করলেই ঈশ্বরকে পাওয়া যায়। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে ভারতবর্ষ এবং হিন্দু ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে স্বামী বিবেকানন্দ আমেরিকার শিকাগো ধর্ম সভায় বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তার বক্তৃতা শুনে বহু অ্যামেরিকাবাসী স্বামী বিবেকানন্দের অনুরাগী হয়ে পড়েছিলেন। তাঁকে অনুসরণ করে আমেরিকা থেকে ভারতে পাড়ি দিয়েছিলেন ভগিনী নিবেদিতা।
স্বামী বিবেকানন্দের (Swami Vivekananda) সেই বিখ্যাত বাণী গুলি দিকে এবার চোখ রাখা যাক
১) মানব জীবনে তিনটি আদর্শকে মেনে চলার কথা বলেছিলেন স্বামীজি। এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য হল, ‘যারা তোমায় সাহায্য করেছে, তাঁদের কখনও ভুলে যেও না। যারা তোমাকে ভালোবাসে, তাদের কোনওদিন ঘৃণা করো না। আর যারা তোমাকে বিশ্বাস করে, তাদের কখনও ঠকিয়ো না।’
২) জীবনে নিজে উঠে দাঁড়াও, শক্ত হও, দীপ্ত হও। স্বামী বিবেকানন্দ সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলতেন তুমি তোমার নিয়তির স্রষ্টা। জীবনে তোমার যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন তা সব সময় তোমার মধ্যেই বিদ্যমান রয়েছে। সেই জন্যই তিনি সকলকে নিজেদের ভবিষ্যৎ জীবন নিজেদের তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছেন।
৩) যেকোনো একটা ভাবনাকে চিন্তার মধ্যে আনো। সেই একটা ভাবনাকেই নিজের জীবনের স্বপ্ন করে ফেল। সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য তোমার মস্তিষ্ক, তোমার পেশি তোমার শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে কাজ করাও। প্রত্যেকটি ভাবনার সঙ্গে অন্য ভাবনাটিকে আলাদা করে রাখো আর এই পথেই তোমাদের সাফল্য আসবে।
৪) তুমি যদি খ্রীষ্টের মত ভাবো তাহলে দেখবে তুমি একজন খ্রিস্টান বুদ্ধের মতো ভাবলে একজন বৌদ্ধ। অর্থাৎ তোমার ভাবনা অনুভূতি তোমার জীবন শক্তিই জীবনই শক্তি প্রভৃতি ছাড়া ভগবানের কাছে পৌঁছানো সম্ভব নয়।
৫) তুমি গীতা পড়ার থেকে ফুটবলের মাধ্যমে স্বর্গের অনেক কাছাকাছি পৌঁছাতে পারবে।
৬) জীবনে হেরে যেও না উঠে দাঁড়াও জাগো এবং লক্ষ্যে পৌঁছানো না পর্যন্ত থেমে যেও না।
৭) সারাদিন চলার পথে যদি কোনো সমস্যার সম্মুখীন না হও তাহলে বুঝতে হবে তুমি সঠিক পথে চলতে পারছ না। ভুল পথে তুমি ধাবিত হয়েছো।
৮) কোনো বড় কাজ করতে গেলে কঠিন পরিশ্রম এবং কষ্ট করতেই হবে। কঠিন পরিশ্রম এবং কষ্ট ব্যতীত কোনো বড় কাজ উদ্ধার হওয়া সম্ভব নয়।
৯) স্বামীজি সকল সময় বিশ্বাস করতেন যে, কেউ কিছু পাওয়ার উপযুক্ত হলে জগতের কোনো শক্তি তাকে সেই জিনিসটি থেকে বঞ্চিত করতে পারেনা।
১০)
মনের মতো কাজ পেলে একজন মূর্খ লোকও সেই কাজটি করতে পারে। যে সমস্ত কাজকেই মনের মত করে নিতে পারে সেই ব্যক্তি হলো বুদ্ধিমান। জীবনে কোন কাজ করায় ছোট নয়।