Swasthya Sathi Card : পশ্চিমবঙ্গবাসীদের মধ্যে আমরা সকলেই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড সম্পর্কে জানি। সমগ্র রাজ্যবাসীদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এই স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর ব্যবস্থা করেছিলেন। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারের ব্যক্তিরা চিকিৎসার খরচের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত অনুদান পেতে পারবেন। আর এই খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার।
পরিবারের মহিলার নামে এই কার্ডটি ইস্যু হবে এবং এর মধ্যে পরিবারের প্রতিটি সদস্যের নাম নিবন্ধিত থাকবে। তবে বহু মানুষ আছেন যারা এই Swasthya Sathi Card বা স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুযোগ এতদিন পেতেন না। এবার থেকে এই সমস্ত মানুষরাও যাতে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের সুবিধা পান সেই ব্যবস্থা চালু করেছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয়ে আরো জানার জন্য আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
ছয় মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে রাজ্যের পঞ্চায়েত কর্মীরা, এবার থেকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর সুবিধা পাবেন। কয়েকদিন আগে ক্যাবিনেট বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে রাজ্যের সমস্ত পঞ্চায়েত দপ্তরে যে কর্মীরা আছেন তারা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মাধ্যমে চিকিৎসা করাতে পারবেন। এতদিন পর্যন্ত এই সমস্ত কর্মীরা স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর সুবিধা উপভোগ করতে পারতেন না। অবশেষে এই সমস্যার সমাধান হল।
Swasthya Sathi Card-এর নতুন নিয়ম।
কয়েকদিন আগে রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর জন্য এক বড় ধরনের পরিবর্তন ঘোষণা করেছে। এখন থেকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড এর মাধ্যমে বেসরকারি হাসপাতালে হাড়ের অপারেশন করালে তার খরচ পাওয়া যাবে না। হাড়ের অস্ত্র প্রচার করানোর জন্য সাধারণ মানুষকে বেছে নিতে হবে সরকারি হাসপাতালকে। তবে এই নির্দেশিকা কিন্তু পথ দুর্ঘটনায় আহতদের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না।
এর পাশাপাশি নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে যে সরকারি হাসপাতালে যদি অপারেশন করার মতো পরিকাঠামো না থাকে তাহলে রোগীকে বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো যাবে। তবে সেক্ষেত্রে রোগীকে কিন্তু নির্দিষ্ট ফর্মে রেফারেল সার্টিফিকেট নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। এতদিন পর্যন্ত মালদা এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় এই ব্যবস্থাটি চালু ছিল। আর এখন থেকে গোটা রাজ্যেই এই ব্যবস্থা শুরু হতে চলেছে।