Yogyashree Scheme: মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর পশ্চিমবঙ্গবাসীদের জন্য বহু প্রকল্পের সৃষ্টি করেছেন। সম্প্রতি ২০২৪ সালের শুরুতে তিনি আর এক প্রকল্পের সৃষ্টি করলেন যার নাম যগ্যশ্রী প্রকল্প। তবে এই প্রকল্প প্রধানত তপশিলি জাতি এবং উপজাতি সম্প্রদায়ের যুবক-যুবতীদের জন্য। এই যোগ্যশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে কি সুবিধা পাওয়া যেতে পারে? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
Yogyashree Scheme বা যোগ্যশ্রী স্কিম কি?
যোগ্যশ্রী প্রকল্পের সুবিধা উপভোগ করতে পারবে তপশিলি জাতি এবং উপজাতি সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা। গত ৪ঠা জানুয়ারি সোমবার আলিপুরের ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহেতে আয়োজিত হয়েছিল একটি সরকারি অনুষ্ঠান। আর ওই সরকারি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি যোগ্যশ্রী প্রকল্পের ঘোষণা করেন। এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন যে এসসি এবং এসটি পড়ুয়াদের জন্য যোগ্যশ্রী প্রকল্প হল যুগান্তকারী একটি পদক্ষেপ।
যোগ্যশ্রী স্কিমের সুবিধা
এবার থেকে এসসি এবং এসটি পড়ুয়ারা বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষার পাশাপাশি JEE, NEET, West Bengal JEE ইত্যাদি পরীক্ষার জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ নিতে পারবে। প্রশিক্ষণ দেবার জন্য সমগ্র পশ্চিমবঙ্গের ৪৬ টি সেন্টার রয়েছে। প্রতিটি জেলায় দুটি করে সেন্টার অবস্থিত। এই যোগ্যশ্রী প্রকল্পের ট্রেনিং নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই ২৫৪ জন চান্স পেয়েছে। যোগ্যশ্রী প্রকল্পের ঘোষণার পর মুখ্যমন্ত্রী আরও একটি প্রকল্পের কথা জানিয়েছেন রাজ্যবাসীদের। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারবে। এই স্কিমটির নাম দেওয়া হয়েছে স্টুডেন্ট ইন্টার্নশিপ স্কিম।
স্টুডেন্ট ইন্টার্নশিপ প্রকল্পের কাজ তড়িঘড়ি করে রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। যত অল্প বয়স থেকে ছেলে মেয়েরা সরকারি চাকরির প্রশিক্ষণ নিতে পারবে তত তাদের ভবিষ্যৎ জীবন উন্নতির পথে পা দেবে। এই স্কিমে যারা উত্তীর্ণ হবেন তাদের হাতে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে। প্রতিবছর ২৫০০ জন পড়ুয়া এই স্কিমের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পাবে। আর ইন্টার্নশিপ চলাকালীন সময়ে তাদের পারিশ্রমিক হিসেবে দশ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন – HPCL Recruitment: হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামে দপ্তরে কর্মী নিয়োগ, মাসিক 25 হাজার টাকা বেতনে
এই স্টুডেন্ট ইন্টার্নশিপ প্রকল্পের ফলে ছেলেমেয়েরা আর্থিক সক্ষমতার পাশাপাশি প্রশাসনিক ধারণাও তৈরি হবে। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা পুলিশের দশম ডিভিশন ভাঙ্গরের দিকে বিশেষ নজর রাখার জন্য তিনি খেয়াদা ওয়ান এবং টু-কে যোগ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে এই জায়গাটি কে নজর রাখার জন্য প্রশাসনিক দপ্তরে তেমন কেউ নেই তাই এটিতে অনৈতিক কাজকর্ম হচ্ছে। এই অনৈতিক কাজকর্ম কে বন্ধ করার জন্য বিশেষ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।