প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (PM Awas yojana) আবেদনকারীদের জন্য সুখবর। আরো সুবিধা হয়ে গেল সবার। গৃহহীন অসহায় মানুষদের মাথার উপর ছাদ বানিয়ে দিতে ২০১৫ সালে নরেন্দ্র মোদি চালু করেন এই প্রকল্প। এখনো পর্যন্ত প্রায় ৪ কোটি মানুষ এই যোজনার মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। কেন্দ্র ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, আগামী দিনে আরও বহু মানুষকে এর আওতায় আনা হবে। আর সেই লক্ষ্যে এবার আবাস যোজনায় বড়সড়ো কিছু পরিবর্তন আনল সরকার। আবেদন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে আর্থিক সহায়তার অঙ্ক—সবকিছুতেই বাড়ানো হয়েছে সুযোগ-সুবিধা। এর ফলে খুব শীঘ্রই আরও অনেক অসহায় পরিবারের ভাগ্যে জুটবে একটি স্বপ্নের ঘর।
PM Awas yojana এখনো পর্যন্ত যেসব সুবিধা মিলেছে
১. পরিবার প্রতি পাকা ঘর নির্মাণের জন্য আর্থিক অনুদান
২. শহর ও গ্রামে সমান সুযোগ
৩. মহিলাদের নামে ঘরের মালিকানা প্রদান, নারী ক্ষমতায়নের পথে এক সাহসী পদক্ষেপ
৪. পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহারের সুপারিশ
৫. ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা পাঠানোর সুবিধা
কী কী পরিবর্তন এসেছে PM Awas yojana?
প্রথমত, আবেদন করার সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ, যাঁরা আগে কোনো কারণে আবেদন করতে পারেননি, তাঁদের জন্য আবারও খুলে গেল স্বপ্নপূরণের দরজা। দ্বিতীয়ত, পরিবার প্রতি টাকার পরিমাণও ২ লক্ষ ৬৭ হাজার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষ আরও সহজে ঘর নির্মাণ করতে পারেন। তৃতীয়ত, ব্যাংক লোন এবং অনুদানের ক্ষেত্রেও মিলবে প্রচুর সুযোগ-সুবিধা।
কোন কোন পরিবার এই প্রকল্পের জন্য যোগ্য?
যাঁদের নিজস্ব ঘর নেই, যাঁরা BPL তালিকাভুক্ত, যাঁদের বার্ষিক আয় নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে, এমনকি বিধবা, প্রতিবন্ধী বা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরাও বিশেষ অগ্রাধিকার পান।
আবেদন করবেন কীভাবে?
অনলাইনে pmayg.nic.in ওয়েবসাইটে গিয়ে “Apply Online” অপশন থেকে আবেদন করা যাবে। নাম, ঠিকানা, আধার নম্বর, ব্যাঙ্ক ও যোগাযোগের তথ্য দিয়ে সাবমিট করলেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সঙ্গে সঙ্গে একটি রেজিস্ট্রেশন নম্বরও পাওয়া যাবে, যা ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে।
সতর্ক থাকুন, সচেতন থাকুন:
আবেদনের সময় সব তথ্য সঠিকভাবে দিন। ভুল তথ্য দিলে আবেদন বাতিল হতে পারে। আর একবার আবেদন সাবমিট হলে তা আর সংশোধন করা যাবে না।