ছাত্র জীবন হলো ভবিষ্যত গড়ার প্রথম ধাপ। ছোট থেকেই ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের স্বপ্ন থাকে শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার, কার্টুনিস্ট, অভিনেতা থেকে শুরু করে ডাক্তার বিভিন্ন ধরনের পেশায় নিযুক্ত হতে। বিভিন্ন পেশায় নিযুক্ত হওয়ার জন্য এক এক জনকে আলাদা আলাদা ধরনের স্ট্রিম নিয়ে পড়াশোনা করতে হয়। যদি কেউ শিক্ষক হতে চায় তবে তাকে সায়েন্স বা আর্টস বা কমার্স শাখায় গ্রাজ্যুয়েট বা মাস্টার ডিগ্রী পাশ করার পরে বিএড ট্রেনিং নিয়ে শিক্ষক হতে হবে।
আবার যারা কার্টুনিস্ট হবেন তারা উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর অ্যানিমেশন এর নানান ধরনের কোর্স করে কার্টুনিস্ট হতে পারবেন। এবার প্রশ্ন হল যে ডাক্তার হতে গেলে কি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন। ছাত্র জীবনের প্রথম ধাপের গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হল মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই মাধ্যমিক পরীক্ষায় যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা ভালো নম্বর নিয়ে পাশ করে তারা বেশিরভাগই সায়েন্স শাখায় পড়াশুনা শুরু করে।
যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীরা সায়েন্স শাখায় পড়াশুনা শুরু করে তাদের বেশিরভাগ জনেরই স্বপ্ন থাকে ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার। ডাক্তার হওয়ার জন্য কয়েকটি সাবজেক্ট কে প্রাধান্য দেওয়া হয় যেমন বাংলা ইংরেজির পাশাপাশি বায়োলজি এবং বায়োটেকনোলজিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। জেনারেল ক্যাটাগরির ছাত্র-ছাত্রীদের নূন্যতম ৫০% নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করলে NEET পরীক্ষা দিতে পারে।
জেনারেল ক্যাটাগরির ছেলে মেয়েরা এই নিট পরীক্ষায় (NEET Exam) বসতে গেলে ৫০ শতাংশ উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বর নিয়ে পাশ করতে হবে। অপরদিকে এস সি, এস টি ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। নিট পরীক্ষায় ভালো ফল করলে ডাক্তারিতে চান্স পাওয়া যায়। নিট পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোনোর পর মেডিকেল বোর্ডের কর্মকর্তারা কাউন্সিলিং প্রক্রিয়ার ব্যবস্থা করে থাকেন।
নিট পরীক্ষার নাম্বারের ভিত্তিতে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারেন। ডাক্তারি পড়ার জন্য সময় লাগে সাড়ে চার বছর। সাড়ে চার বছর শেষ হওয়ার পর এক বছর ইন্টার্নশিপ করতে হয় যে কোনো হাসপাতালে। ইন্টার্নশিপ কমপ্লিট হলে ডাক্তার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করার সুযোগ পাওয়া যায়।
সাড়ে চার বছরের যে বিষয়গুলি নিয়ে পড়তে হবে
১) ফার্স্ট সেমিস্টারে পড়তে হয় অ্যানাটমি, ফিজিওলজ এবং বায়োকেমিস্ট্রি।
২) ছাত্রছাত্রীদের দ্বিতীয় সেমিস্টারে পড়ানো হয় ফার্মাকোলজি, ফরেন্সিক মেডিসিন, প্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি।
৩) অপথ্যালমোলজি, ওটোরাইনোল্যারিঙ্গোলজি, কমিউনিটি মেডিসিন সংক্রান্ত বিষয়গুলি পড়ানো হয় তৃতীয় সেমিস্টারে।
৪) অপরদিকে চতুর্থ বর্ষে ডাক্তারি পাঠরত ছাত্র ছাত্রীরা পড়বেন মেডিসিন, জেনারেল সার্জারি, অবস্টেট্রিক্স অ্যান্ড গায়নেকোলজি, পেডিয়াট্রিক্স (নিওন্যাটোলজি-সহ) সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে।