Atal Pension Yojana – প্রতি মাসে 210 টাকা জমান আর প্রতি বছর 60 হাজার টাকা পান

Advertisement

কোনও মানুষই সারা জীবন কর্মক্ষম থাকে না। বৃদ্ধ বয়সে কি হবে,কে দেখবে? সকলের মনেই এই প্রশ্ন থাকে।অবসর নেওয়ার পরে আরাম করে বসে খাওয়ার পাশাপাশি আরামে বার্ধক্য উপভোগ করার ইচ্ছে সকল মানুষের থাকে। তাই আগে থেকেই মানুষ সঞ্চয় করার কথা ভাবে ন। প্রতি মাসে যদি অল্প অল্প করে অর্থ জমানো শুরু করা যায়, তাহলে একটা সময় এটি বট বৃক্ষের মতো ছায়া প্রদান করবে।

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

যাঁরা সরকারি চাকরি করেন না অথবা যাঁদের পেনশন পাওয়ার কোনও সুবিধে নেই, তাঁদের জন্যই কেন্দ্র সরকার পেনশনভিত্তিক একটি নতুন প্রকল্প চালু করেছেন। এই প্রকল্পের নাম অটল পেনশন প্রকল্প।অটল পেনশন প্রকল্প (Atal Pension Yojana) বৃদ্ধদের জন্য নিরাপত্তা আনে। অবসরের পর এই পেনশন প্রকল্প অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণদের আর্থিক নিরাপত্তা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বহু প্রবীন নাগরিকরা স্বাচ্ছন্দে তাদের জীবন কাটাতে পারবেন।

Advertisement

অটল পেনশন যোজনা দেশের সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্কিম। ২০১৫ সালে মোদী সরকার এই স্কিমটি চালু করেন। এটি মূলত অসংগঠিত ক্ষেত্রের কর্মীদের কথা মাথায় রেখেই চালু করা হয়েছে। কারা এই স্কিমে আবেদন করতে পারবেন, আবেদনের যোগ্যতা কি,কিভাবে আবেদন করবেন,কি কি সুবিধা পাবেন তা দেখে নেওয়া যাক-

Advertisement

Atal Pension Yojana আবেদনকারীর যোগ্যতা?
১)আবেদনকারীর বয়স ১৮-৪০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
২)আবেদনকারীর নিজের নামে যে কোনো পোস্ট অফিস বা ব্যাঙ্কে সেভিংস একাউন্ট থাকতে হবে।
৩)আধার কার্ড এবং একটি সক্রিয় মোবাইল নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক।যা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় সময় লাগবে।

কারা আবেদন করতে পারবেন না?
সকলেই এই স্কিমে আবেদন করতে পারবেন না।কারা কারা আবেদন জানাতে পারবেন না-
১) কর্মচারীদের ভবিষ্যত তহবিল এবং বিবিধ বিধান আইন, 1952.
২) কয়লা খনি প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং বিবিধ বিধান আইন, 1948.
৩) আসাম চা বাগান প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং বিবিধ বিধান, 1955.
৪) সীমেনস প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাক্ট, 1966 ।
৫) জম্মু ও কাশ্মীর কর্মচারীদের ভবিষ্যত তহবিল এবং বিবিধ বিধান আইন, 1961.

Atal Pension Yojana একাউন্ট কিভাবে খুলবেন?
১) যে কোনো ব্যাঙ্কের শাখা অথবা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে এই APY একাউন্ট খুলতে হবে।
২) সেখানে ব্যক্তির একটি নিজস্ব সঞ্চয়ী বা Savings ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আছে বা অ্যাকাউন্ট না থাকলে একটি নতুন সঞ্চয় একাউন্ট খুলে নিতে হবে।
৩) ব্যাঙ্ক/ পোস্ট অফিস সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যবহার করতে হবে। ব্যাঙ্ক কর্মীদের সাহায্যে APY রেজিস্ট্রেশন ফর্ম পূরণের সময়ে নিজের আধার এবং মোবাইল নম্বর দিতে হবে।

Atal Pension Yojana

৪) এটি বাধ্যতামূলক নয়, তবে নিজের অর্থ প্রদান সংক্রান্ত যোগাযোগের সুবিধার্থে প্রদান করা যেতে পারে।
৫) মাসিক/ত্রৈমাসিক/অর্ধবার্ষিক আর্থিক অবদান স্থানান্তরের জন্য সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট/ পোস্ট অফিস সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনীয় পরিমাণ অর্থ মাস শুরুর আগে থেকেই জমা রাখতে হবে।

Atal Pension Yojana প্রত্যাহার করতে হয় কিভাবে?
১) উক্ত ব্যক্তির 60 বছর বয়স পূর্ণ হলে গ্রাহক সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে গ্যারান্টিযুক্ত ন্যূনতম মাসিক পেনশন বা উচ্চতর মাসিক পেনশন তুলতে পারবেন। যদি আর্থিক বিনিয়োগের রিটার্ন Atal Pension Yojana তে এম্বেড করা গ্যারান্টিযুক্ত রিটার্নের চেয়ে বেশি হয়।
২) গ্রাহকের মৃত্যু হলে তার পত্নীকে মাসিক পেনশনের সমান পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়। নথিভুক্ত গ্রাহক এবং পত্নী উভয়ের মৃত্যু হলে 60 বছর বয়স পর্যন্ত সঞ্চিত পেনশন সম্পদ উত্তোলনের জন্য যোগ্য হবেন।
৩) 60 বছর বয়সের পরে কোনও কারণে গ্রাহকের মৃত্যুর ক্ষেত্রে 60 বছর বয়স পর্যন্ত স্বামী/ স্ত্রী এবং উভয়ের (গ্রাহক এবং স্ত্রী) মৃত্যুর ক্ষেত্রে একই পেনশন পাবেন।

৪) 60 বছর বয়সের আগে উক্ত ব্যক্তি যদি স্বেচ্ছায় Atal Pension Yojana থেকে প্রস্থান করতে চান, তাহলে শুধুমাত্র APY তে তার দ্বারা করা অবদান হিসেবে তার নিজের অবদানে জমা হবে। নেট প্রকৃত অর্জিত আয় এবং অ্যাকাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ কাটার পরে বাকি টাকা তিনি পাবেন। সরকারী সহ-অবদান এবং সরকারী সহ-অবদানে অর্জিত মোট আয়, এই জাতীয় গ্রাহকদের ফেরত দেওয়া হবে না।
৫) 60 বছরের আগে গ্রাহকের মৃত্যুর ক্ষেত্রে অর্থাৎ মূল গ্রাহকের বয়স 60 বছর না হওয়া পর্যন্ত APY অ্যাকাউন্টে অবশিষ্ট সময়ের জন্য তার অথবা তার নামে অর্পিত অবদান চালিয়ে যাওয়ার বিকল্পটি পত্নীর কাছে পুরোপুরি উপলব্ধ থাকবে। গ্রাহকের পত্নীর মৃত্যুতে একই পেনশনের পরিমাণ নামাঙ্কিত নমিনি পাবার অধিকারী হবেন যা গ্রাহককে প্রদেয় ছিল।
৬) এক্ষেত্রে APY- এর অধীনে সম্পূর্ণ জমাকৃত অর্থ করপাস স্ত্রী অথবা রেজিস্ট্রিকৃত নমিনিকে ফেরত দেওয়া হবে।

এই স্কিমে মাসে কত টাকা পেতে পারেন?
অটল পেনশন যোজনার অধীনে যদি কোনও ১৮ বছর বয়সী ব্যক্তি এই স্কিমে যোগদান করেন, এবং পরবর্তী ৪২ বছরের জন্য প্রতি মাসে ২১০ টাকা করে জমা করা শুরু করেন ৬০ বছর বয়সী না হওয়া পর্যন্ত সেক্ষেত্রে তিনি পরে ৫,০০০ টাকা করে মাসিক পেনশন পাবেন।

এই পেনশন সরাসরি PFRDA অর্থাৎ Pension Fund Regulatory and Development Authority এর অধীনস্ত। APY একটি ‘সরকারি গ্যারান্টিযুক্ত স্কিম’। এই স্কিমে কর ছাড়ের সুবিধাও আছে। যাঁরা এই প্রকল্পে টাকা রাখছেন, তাঁরা আয়করের 80CCC ধারা এবং 80CCD-র অধীনে অতিরিক্ত কর ছাড়ের সুবিধা পাবেন।

Advertisement