Gold Loan: জীবনে অনেক কঠিন অবস্থায় সম্মুখীন হয়ে অর্থ জোগাড় করার জন্য মানুষকে ব্যাংকে বা অন্য কোনো ফাইন্যান্স সংস্থায় ছুটতে হয় গোল্ড লোনের জন্য। বাড়িতে থাকা সোনার গহনা বন্ধক রেখে ঋণ পাওয়া যায় বলে বিশ্লেষকরা সোনাকে সম্পদ বা সিকিউরিটিজ বলে আখ্যা দিয়েছেন। বিভিন্ন ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অল্প সুদে গোল্ড লোন প্রদান করা হয়। আর এই গোল্ড লোন নিয়ে বিনিয়োগকারীরা আর্থিক সংকট থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন অনেক সহজে।
কোন ব্যাংক Gold Loan -এর উপর কত সুদের হার নেই
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ব্যাংকে স্বল্প সুদে গোল্ড লোন প্রদান করা হয়। জেনে নেব স্বর্ণ ঋণের উপর কোন কোন ব্যাংক কত সুদ প্রদান করতে চলেছে-
আরও খবর – পোস্ট অফিসে টাকা রাখার নতুন নিয়ম এই ৪ টি স্কিমে
ব্যাঙ্কের নাম | সুদের হার |
Kotak Mahindra Bank | 8.00% থেকে 24.00% |
HDFC Bank | 8.50% থেকে 17.30% |
Central Bank of India | 8.45% থেকে 8.55% |
UCO Bank | 8.50% |
Indian Bank | 8.65% থেকে 9.00% |
Union Bank | 8.65% থেকে 9.90% |
SBI | 8.70% |
Bandhan Bank | 8.75% থেকে 19.25% |
Punjab & Sind Bank | 8.85% |
Federal Bank | 8.99% |
উপরের প্রতিটি ব্যাংকের স্বল্প সুদে গোল্ড ঋণের উপর প্রক্রিয়াকরণের ফি সম্পূর্ণ আলাদা, তাই প্রক্রিয়াকরণের ফি জানতে হলে ব্যাংক গুলিতে যোগাযোগ করুন।
গোল্ড লোন (Gold Loan) পেতে গেলে কোনো সিবিল স্কোরের দরকার হয় না। কেওয়াইসি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য কর্তৃপক্ষের কাছে প্রদান করে গোল্ড লোন পাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে ওয়াকিবহাল মহল বলে যে গোল্ড লোন পেতে গেলে কোনো ক্রেডিট স্কোরের প্রয়োজন হয় না।
সোনার কয়েনের উপর লোন পাওয়ার নিয়ম
আইসিআইসিআই ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায় যে ব্যাংক গুলির তরফ থেকে ইস্যু করা 99.99% বিশুদ্ধ 24 ক্যারেটের সোনার কয়েন জমা রেখে সহজেই গোল্ড লোন পাওয়া যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া একটি নিয়ম বেঁধে দিয়েছে। রিজার্ভ ব্যাংকের তরফ থেকে বলা হয়েছে যে প্রতি গ্রাহক 50 গ্রামের সোনার কয়েন জমা রেখে গোল্ড লোন নিতে পারবেন। ওজনটি 50 গ্রামের বেশি হবে না।
আরও খবর – RBI -এর নির্দেশ, ফাঁকা হতে পারে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট! এই অ্যাপগুলি ডিলিট করুন।
যে সমস্ত ডকুমেন্টসগুলির প্রয়োজন হয় সেগুলি হল
১) গ্রাহকের দুটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
২) ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে প্রয়োজন হবে আধার কার্ড/ রেশন কার্ড/ ড্রাউভিং লাইসেন্স/ পাসপোর্ট/ ভোটার কার্ডের।
৩) কৃষি কাজের জন্য যদি ঋণ নেওয়া হয় সেক্ষেত্রে এক লক্ষ টাকার বেশি ঋণ নিতে গেলে জমির মালিকানার প্রমাণপত্র জমা দেওয়া আবশ্যিক।