IAS Success Story: চাকরির পরীক্ষার মধ্যে সবথেকে যে পরীক্ষাটি কঠিনতম সেটি হল আইএএস পরীক্ষা। অনেকেরই আইএএস হওয়ার জীবনের স্বপ্ন থাকে কিন্তু সেটাকে বাস্তবে পরিণত করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। এই আইএএস পরীক্ষাটির আয়োজন করে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন। আজকে আমরা এই আর্টিকেলের মধ্যে এমনই এক জন আইএএস অফিসারের জীবন সংগ্রামের কাহিনী তুলে ধরব যিনি শ্রবণ সংক্রান্ত প্রতিবন্ধী হওয়া সত্বেও কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা আজকে আইএএস অফিসার হতে পেরেছেন।
আরও পড়ুন- RRC Apprentice Jobs: মাধ্যমিক পাশে রেলে ৩০১৫ টি অ্যাপ্রেন্টিস পদে কর্মী নিয়োগ, জানুন আবেদন পদ্ধতি।
বহু প্রার্থীরাই ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দিয়ে থাকেন। কিন্তু এই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার ফলে তারা জীবনের স্বপ্নটিকে ভুলে অন্য কাজে নিযুক্ত হয়ে যায়। কিন্তু সৌম্যা শর্মা এই কাজটি করেননি তিনি তার স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত দিয়েছেন। সৌম্যা শর্মা হলেন ডাক্তার দম্পতির কন্যা। উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্মগ্রহণ করলেও আর পাঁচটা সাধারণ মেয়ের মত সহজ জীবনযাত্রা ছিল না সৌম্যার। কারণ ছোট থেকেই তাঁর শ্রবণশক্তিতে সমস্যা ছিল। ১১ বছর বয়স থেকে তার শ্রবণশক্তির সমস্যা শুরু হয়। বহু চিকিৎসা চালানোর পর এক সময় আর চিকিৎসায় সাড়া মেলেনি। ১৬ বছর যখন তার বয়স তখন সম্পূর্ণ শ্রবণশক্তি নষ্ট হয়ে যায়। অবশেষে তাকে একটা কানে হিয়ারিং এইড ব্যবহার করতে হয়।
সৌম্যা স্কুলের পড়াশুনা শেষ করার পর ন্যাশনাল ল স্কুলে ভর্তি হন স্নাতক কোর্সের জন্য। স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করার পর দিল্লি হাইকোর্টে তিনি আবেদন করেন যাতে সেখানে শারীরিক বিশেষভাবে সক্ষম কোটায় শ্রবণ প্রতিবন্ধকতাও যোগ করা হয়। তৎকালীন হাইকোর্টের বিচারপতি তার প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়ে দিল্লির হাইকোর্টে শ্রবণ প্রতিবন্ধীরা যাতে সংরক্ষিত স্থান পায় সেই ব্যবস্থা করেন। আর এটি সৌম্যার জীবনে অবিস্মরণীয় সৃষ্টি।
তার শ্রবণশক্তি ঈশ্বর কেড়ে নিলেও মনের দিক থেকে তিনি কখনো পিছিয়ে পড়েন নি। লড়াই করবার মনোভাব ছিল তার মধ্যে। আর এই জন্যেই হয়তো মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি আইএএস পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ লাভ করেন। ২০১৭ সালে তিনি সর্বভারতীয় স্তরে র্যাঙ্ক অর্জন করে আইএএস অফিসার পদে অধিষ্ঠিত হন। তবে তিনি ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য কোনো কোচিং নেননি আবার ব্যবহার করেননি শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের সংরক্ষিত কোটা। সম্পূর্ণ নিজে পড়ে জেনারেল ক্যাটাগরির প্রার্থী হিসেবে এই সাফল্য তিনি অর্জন করেছেন।