Ishwar Chandra Vidyasagar Scholarship – পশ্চিমবঙ্গে এমন অনেক ছাত্রছাত্রী রয়েছে যারা মেধাবী কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তারা নিজেদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন না। যে সকল মেধাবী পড়ুয়া অর্থের অভাবে পড়াশোনা করতে পারেন না তাদের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার তরফে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। যাতে দুস্থ মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা স্কলারসিপের এই অনুদানের টাকায় নিজেদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে।
এই সকল দুস্থ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি বেসরকারি সংস্থা নতুন একটি স্কলারশিপ নিয়ে এসেছে। এই নতুন স্কলারশিপটির নাম হল ‘ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্কলারশিপ’ “Ishwar Chandra Vidyasagar Scholarship”. এই স্কলারশিপের মাধ্যমে পড়ুয়াদের দেওয়া বিশেষ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্কলারশিপের মাধ্যমে ৬,০০০ টাকা পর্যন্ত বৃত্তি দেওয়া হয়। এই স্কলারশিপের আবেদন করবেন কিভাবে,কি কি নথি লাগবে,স্কলারশিপ সংক্রান্ত যাবতীয় খুঁটিনাটি সম্পর্কে জেনে নিন-
“Ishwar Chandra Vidyasagar Scholarship” – ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্কলারশিপ কী?
পশ্চিমবঙ্গের একটি প্রাইভেট সংস্থা পশ্চিম মেদিনীপুর ফিউচার কেয়ার সোসাইটির তরফ থেকে এই স্কলারশিপটি দেওয়া হয়। যে সকল মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা অর্থের জন্য পড়াশোনা করতে পারছেন না তাঁদের সাহায্য করাই এই স্কলারশিপ প্রদানের মূল উদ্দেশ্য।যাতে তারা নিজেদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন।
কোন শ্রেণীর পড়ুয়ারা এই স্কলারশিপে আবেদন করতে পারবেন?
অষ্টম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়। অর্থাৎ এই স্কলারশিপের মাধ্যমে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের আর্থিক সাহায্য করা হয়।
এই স্কলারশিপের মাধ্যমে কত টাকা করে দেওয়া হয়?
এই স্কলারশিপের মাধ্যমে প্রতিটি ক্লাসের পড়ুয়াদের দেওয়া আর্থিক অনুদানের পরিমান আলাদা। কোন ক্লাসের পড়ুয়াদের বছরে কত টাকা করে দেওয়া হয় দেখে নিন-
১) অষ্টম শ্রেণী – বার্ষিক ১,২০০ টাকা।
২) নবম শ্রেণী – বার্ষিক ২,৪০০ টাকা।
৩)দশম শ্রেণী – বার্ষিক ৩,৬০০ টাকা।
৪) একাদশ শ্রেণী – বার্ষিক ৪,৮০০ টাকা।
৫)দ্বাদশ শ্রেণী – বার্ষিক ৬,০০০ টাকা।
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্কলারশিপে “Ishwar Chandra Vidyasagar Scholarship” কারা আবেদন করার যোগ্য?
১) আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
২) শুধুমাত্র অষ্টম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদনের যোগ্য
৩) পড়ুয়াদের পূর্বের ক্লাসে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর পেয়ে থাকতে হবে।
৪) ছাত্রছাত্রীদের পরিবারের বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার কম হতে হবে।
এই স্কলারশিপে আবেদন করবেন কীভাবে?
অফলাইনের মাধ্যমে এই স্কলারশিপে আবেদন করতে হবে। নির্দিষ্ট লিংকে থেকে এই স্কলারশিপের আবেদনপত্রটি প্রথমে ডাউনলোড করে প্রিন্ট আউট করে নেবেন। এরপরে সেই ফর্মটি পূরণ করে তার সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো অ্যাটাচ করে তা একটি মুখবন্ধ খামে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাঠিয়ে দিতে হবে।
আবেদন করতে কী কী ডকুমেন্ট লাগবে?
১) আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজ রঙিন ছবি।
২) আগের ক্লাসের মার্কশীট।
৩) ছাত্রের বা অভিভাবকের আধার কার্ড।
৪) ইনকাম সার্টিফিকেট।
৫) ব্যাংকের পাসবুকের প্রথম পাতার জেরক্স।
আবেদনপত্র পাঠানোর ঠিকানা?
PASCHIM MEDINIPUR FUTURE CARE SOCIATY,
Aligunj, Kellapukur,
P.O:- Midnapore,
PIN- 721101,
Paschim Medinipur, West Bengal
আবেদনের সময়সীমা?
সাধারণত প্রতি বছর জানুয়ারি মাসের দিকে এই স্কলারশিপের আবেদন শুরু হয়।
অন্য কোনো সরকারি স্কলারশিপে আবেদন করলেও এই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্কলারশিপে আবেদন করা যাবে। কারণ এই স্কলারশিপটি একটি প্রাইভেট স্কলারশিপ।যে সমস্ত মেধাবী পড়ুয়ারা আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে পড়াশোনা করতে পারছেন না,তারা এই স্কলারসিপে আবেদন করতে পারেন।