Krishak Bandhu Prakalpa – রাজ্য হোক কিংবা কেন্দ্র দুই সরকারি বরাবর কৃষকদের কথা ভেবে থাকে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারী তরফে কৃষকরা কৃষক সম্মানিনিধি যোজনা পেয়ে থাকেন। এই যোজনায় ভারতবর্ষের প্রতিটি কৃষক বছরে তিনটি কিস্তিতে ছয় হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। এতদিন পর্যন্ত রাজ্য সরকারই তরফে এরাম কোন প্রকল্প ছিল না। শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারী তরফেই ছিল একটি মাত্র প্রকল্প। এবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকার তাদের রাজ্যের কৃষকদের কথা মাথায় রেখে নিয়ে এলো একটি নতুন প্রকল্প যার নাম কৃষক বন্ধু প্রকল্প (Krishak Bandhu Prakalpa).
কৃষক বন্ধু প্রকল্প (Krishak Bandhu Prakalpa) হল পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক চালু করা একটি নতুন প্রকল্প। এই প্রকল্পের অধীনে কৃষকরা বার্ষিক দুটি কিস্তিতে ১০ হাজার টাকা অব্দি পেতে পারেন। মূলত বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ার জন্য কৃষকদের ফসলের বহু ক্ষতি হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় প্রচন্ড গরম পড়াতেও ফসলের ক্ষতি হয় কৃষকের। এর পাশাপাশি চাষ করার জন্য খরচা তো রয়েছেই।
আরও পড়ুন – Lakshmir Bhandar – বন্ধ হয়ে যাবে আপনার লক্ষীর ভাণ্ডার! তাড়াতাড়ি এই কাজ করুন।
এই সমস্ত কিছুর খরচা সামলাতে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে বর্তমান রাজ্য সরকার। তারা শুরু করছেন Krishak Bandhu Prakalpa নামে একটি নতুন প্রকল্প। আপনি পশ্চিমবঙ্গের একজন স্থায়ী বসবাসকারী হলে এবং আপনার চাষ করার জন্য জমি থাকলে আপনি এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই প্রকল্পে কৃষকেরা বার্ষিক দুটি কিস্তিতে ১০ হাজার টাকা অব্দি পাবেন।
Krishak Bandhu Prakalpa পেতে গেলে কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন?
এই প্রকল্পের টাকা পেতে গেলে শুধুমাত্র আপনাকে পশ্চিমবঙ্গের একজন স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে এবং তার সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে চাষাবাদ করতে হবে। এই Krishak Bandhu Prakalpa আবেদন করলে আপনি খুব সহজেই আপনার চাষাবাদের সুবিধার জন্য বার্ষিক দুটি কিস্তিতে ১০০০০ টাকা অব্দি পেয়ে যাবেন। এছাড়াও যারা বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক সম্মান নিধি যোজনা ৬০০০ টাকা পাচ্ছেন, তারাও এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারেন।
সেক্ষেত্রে আপনি কেন্দ্রীয় সরকারি তরফে ৬০০০ এবং রাজ্য সরকারি তরফে 10 হাজার টাকা পাবেন। অর্থাৎ দুটো প্রকল্প মিলিয়ে মোট ১৬ হাজার টাকা অব্দি পেতে পারেন। তাই দেরি না করে এক্ষুনি আবেদন করুন এই প্রকল্পের জন্য। এই প্রকল্পের ফলে লাভবান হবে পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত ছোট ছোট কৃষকেরা।
আরও পড়ুন – পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব নাম কী? এর উত্তর দিতে ৯৯% মানুষ ব্যর্থ হয়েছেন, আপনি জেনে নিন।