Awas Yojana – দেশের অধিকাংশ মানুষের মাথার উপরে এখনো পর্যন্ত ছাদ নেই। বহু মানুষ এমন রয়েছেন, যারা খুব কষ্ট করে ভাড়াবাড়িতে বাস করেন অথবা যাদের সেই আর্থিক সামর্থ্যটুকু পর্যন্ত নেই নিজের একটা জমি ও বাড়ি করার, তারা অপরের কোনো জায়গায় বা সরকারি জায়গায় কোনোরকমে দিন গুজরান করেন। আর টার জন্য সারা দেশ জুড়ে গৃহহীন মানুষদের মাথার উপরে ছাদ তৈরি করার জন্যই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আবাস যোজনা (Awas Yojana) প্রকল্প নিয়ে আসা হয়।
যে প্রকল্পটির নাম, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Pradhan Mantri Awas Yojana) এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যই হল, গৃহহীন মানুষের মাথার উপরে ছাদ তৈরি করে দেওয়া। আর সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেই সময়সীমার মধ্যে দেশের মানুষের মাথার উপরে ছাদ তৈরি করে দেওয়া যায়নি। তার কারণ, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গে আবাস যোজনার জন্য বরাদ্দ টাকা দেওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Pradhan Mantri Awas Yojana) প্রকল্প।
কেন্দ্রীয় সরকার দীর্ঘদিন ধরেই বাংলার মানুষের জন্য আবাস যোজনার টাকা দেওয়া বন্ধ করে রেখেছে। ফলে বাংলার মানুষ এখন এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে এই সুবিধা পেতে গেলে, কেন্দ্রীয় সরকারের বেশ কয়েকটি শর্ত মানতে হবে। চলুন জেনে নেই সেই শর্ত গুল যে গুল হলে আপনার সরকারি বাড়িটি আপনি পেতে পারেন।
আরও পড়ুন – এই মাসে কোন রেশন কার্ডে কত পরিমাণ রেশন সামগ্রী বরাদ্দ করা হয়েছে তা দেখে নিন !
এই শর্ত গুলিতে আপনি আবাস যোজনা (Awas Yojana) টি পেতে পারেন।
- ১) সেক্ষেত্রে প্রথমেই গৃহহীন হতে হবে অর্থাৎ নিজের বাড়ি থাকা চলবে না।
- ২) BPL কার্ডধারীরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
- ৩) যে সমস্ত বিশেষভাবে সক্ষম মানুষ বা ৬০ শতাংশ প্রতিবন্ধী, তারাও এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে সুবিধা পাবেন।
- 4) যে সমস্ত ব্যক্তিরা আয়কর প্রদান করেন, তারা প্রকল্পের আওতায় সুবিধা পাবেন না।
PMAY প্রকল্পে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের মানুষজনকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে তিনটে কিস্তিতে তাদেরকে এই টাকা সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর জন্য প্রয়োজন হয় আবেদনকারীর বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্টস। তার মধ্যে রয়েছে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, মোবাইল নম্বর, ব্যাংক অ্যাকাউন্টের ডিটেলস (Bank Account Details) রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট, Income Certificate, বয়সের প্রমাণ পত্র এবং বাড়ি না থাকার জন্য নির্দিষ্ট সার্টিফিকেট।
আরও পড়ুন – Post Office Investment – পোষ্ট অফিসের এই 3 টি নতুন স্কিম, মিলবে অল্প সময়ে বেশি পরিমাণে রিটার্ন।