Private Tuition Teacher: SSC এবং TET নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে উত্তাল রাজ্য। তারই মধ্যে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য এবার বড় নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। রাজ্যের সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা(Private Tuition Teacher) যাতে কোনও ভাবেই প্রাইভেট টিউশানি(Private Tuition) করতে না পারেন তার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর।
শিক্ষা দফতরের নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনস্থ স্কুলগুলিতে কর্মরত কোনও শিক্ষক গৃহশিক্ষকতা বা কোনওরকম কোচিং সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। এমনকি বিনা পারিশ্রমিকে কোথাও ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতেও পারবেন না। সূত্রের খবর এই নিয়মের অন্যথা হলে তার চাকরিও কেড়ে নিতে পারবে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর।এমনকি আটকে দেওয়া হতে পারে পেনশানও।
অতীতেও সরকারি এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষকদের টিউশন(Private Tuition Teacher) বন্ধ করার জন্য উদ্যোগী হয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু এরপরেও বিভিন্ন জেলাগুলি থেকে শিক্ষকদের টিউশন করার অভিযোগ সামনে আসছিল।বিভিন্ন জেলায় সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে গৃহশিক্ষকতা করছেন সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা। এবার এই নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করল রাজ্য।
কিছুদিন আগেই সরকারি নিয়ম না মেনে প্রাইভেট টিউশন (Private Tuition Teacher) করা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য। প্রাইভেট টিউশন করার অভিযোগে ৬১ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষাদপ্তর। ওই প্রাথমিক শিক্ষকরা যে স্কুলে পড়ান, সেই জেলার ডিআইদের তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।উত্তরদিনাজপুরে জারি হয়েছে বিশেষ নির্দেশিকা,সেখানে ১০ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি গৃহশিক্ষকদের (Private Tuition Teacher) একটি সংগঠন স্কুল শিক্ষা দফতরে প্রমাণ সহ ৬১ জন শিক্ষক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় যে তাঁরা নিয়ম লঙ্ঘন করে প্রাইভেট টিউশনি করে চলেছেন। জানা যাচ্ছে সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখার পরেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে শিক্ষা দফতর। এমনকি এই নির্দেশ যাতে সার্বিকভাবে মেনে চলা হয় তার জন্য রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে সব স্কুলের প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে নোটিস পাঠানো হচ্ছে।
তাঁদের গৃহশিক্ষকতা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই মর্মে তাঁদের মুচলেকাও জমা দিতে বলা হয়।যদিও ওই গৃহশিক্ষকদের একাংশের দাবি জেলায় শিক্ষকদের অভাব রয়েছে। তাই অনেকেই রীতিমতো টিউশনের জন্য সাধাসাধি করে থাকে। সেক্ষেত্রে তাদের নিষেধ করা সম্ভব হয় না। নামমাত্র অর্থ নিয়ে গৃহশিক্ষকতা (Private Tuition Teacher) করেন অনেকেই।
অবশেষে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতর কড়া ভূমিকা গ্রহন করলো।সোমবার রাতে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।ঠিক কী বলা হয়েছে এই নির্দেশিকায়?শিক্ষা দফতর ২৭ জুন নির্দেশিকা দিয়েছে। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী সরকারি স্কুলে কর্মরত শিক্ষিক-শিক্ষিকারা গৃহশিক্ষকতা করতে পারবেন না।এমনকি কোনও ধরনের কোচিং সেন্টারের সঙ্গেও তাঁরা যুক্ত থাকতে পারবেন না।বিনামূল্যেও টিউশন দেওয়া যাবে না।এই নির্দেশ দেওয়ার পরেও কি শিক্ষকরা গৃহশিক্ষকতা বন্ধ করবে এখন সেটাই দেখার।