Advertisement

SIR 2025 – ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু পশ্চিমবঙ্গে? কাদের নাম বাদ পড়তে পারে?

ভোটার তালিকা সংশোধনের (SIR 2025) কাজ শুরু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ইতিমধ্যেই বিহার রাজ্য সরকার সম্পন্ন করেছে Special Intensive Revision। এবার সেই পথে হেঁটে আমাদের রাজ্যেও হতে চলেছে এই প্রক্রিয়া।

ভোটার তালিকা সংশোধন হওয়ার অর্থ হলো—আদৌ কারা ভোটার হওয়ার যোগ্য, তা মিলিয়ে দেখা। এর ফলে অপ্রয়োজনীয় নাম তালিকা থেকে মুছে ফেলে যোগ্য ভোটারদের তালিকাভুক্ত করা হয়। কী কী কারণে নাম বাদ পড়তে পারে ভোটার তালিকা থেকে? আপনারও কি সেই তালিকায় পড়ার আশঙ্কা রয়েছে? জেনে নিন এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিশদে আজকের প্রতিবেদনে।

আরও পড়ুন – টানা ছুটির ঘোষণা! আগস্ট মাসের ছুটির তালিকা (Holiday List) প্রকাশ করেছে রাজ্য সরকার।

SIR 2025: কী হচ্ছে এই প্রক্রিয়ায়?

আগামী আগস্ট মাস থেকে পশ্চিমবঙ্গজুড়ে শুরু হচ্ছে Special Intensive Revision 2025 বা সংক্ষেপে SIR 2025। এই প্রক্রিয়ায় ভোটার তালিকা সম্পূর্ণরূপে খতিয়ে দেখা হবে এবং নতুন নাম যুক্ত করার পাশাপাশি মৃত, অনুপস্থিত বা অযোগ্য ব্যক্তিদের নাম মুছে ফেলা হবে। এর জন্য রাজ্যের প্রতিটি ওয়ার্ড ও বুথে BLO (Booth Level Officer)-দের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ শুরু হবে। ইতিমধ্যেই BLO-দের প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গেছে।

কাদের নাম তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে?

নির্বাচন কমিশনের গাইডলাইনে বলা হয়েছে, তিন ধরনের নাম মূলত বাদ পড়বে—
১. মৃত ব্যক্তির নাম
২. একই ব্যক্তির একাধিক নাম/তথ্য
৩. ভোটার এলাকা ছেড়ে অন্যত্র বসবাসরত ব্যক্তি

তাছাড়া যাদের কাছে বৈধ নথিপত্র নেই বা পরিচয় ও ঠিকানার প্রমাণ সঠিকভাবে দিতে পারবেন না, তাদের নামও বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বিহারে ইতিমধ্যেই লক্ষ লক্ষ নাম কাটা পড়েছে। এবার বাংলাতেও এমন কিছু ঘটতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

আরও পড়ুন – PM Kisan 20th installment- পিএম কিষাণ প্রকল্পের ২০তম কিস্তির টাকা পাবেন এবার এই কৃষকরা

কি কি ডকুমেন্টস দেখাতে হবে?

নির্বাচন কমিশন মোট ১১টি সরকারি নথিকে পরিচয় ও বয়সের প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে:
১. সরকারি পরিচয়পত্র
২. জন্ম সনদ
৩. মাধ্যমিক সার্টিফিকেট
৪. পাসপোর্ট
৫. পারিবারিক রেজিস্টার
৬. এলআইসি বা পোস্ট অফিসের নথি
৭. NRC সংক্রান্ত কাগজপত্র

আপনার জন্ম তারিখ অনুযায়ী এক, দুই অথবা তিনটি নথি জমা দিতে হতে পারে। যেমন—১লা জুলাই ১৯৮৭-এর আগে জন্ম হলে একটি নথি যথেষ্ট, আর ২০০২ সালের পরে জন্ম হলে নিজের, বাবার ও মায়ের নথি মিলিয়ে তিনটি নথি জমা দিতে হবে। তাই সময় থাকতেই সমস্ত নথি তৈরি করে রাখুন। ভুল বা ভুয়া নথি জমা দিলে আপনার আবেদন বাতিল হতে পারে।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও বিতর্ক

কেন্দ্রের তরফ থেকে Special Intensive Revision এর নির্দেশ আসতেই শুরু হয়েছে তুমুল উত্তেজনা। রাজ্যের তৃণমূল সরকার জানিয়েছে কেন্দ্র ভোটার তালিকা ভেরিফাই করতে চাইছে তা ঠিক আছে, কিন্তু যদি কোন যোগ্য মানুষেরও নাম তালিকা থেকে বাদ যায় তবে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই প্রতিবাদ জানানো হবে। এমনকি রাজপথেও নামতে প্রস্তুত থাকবেন তারা। যদিও নির্বাচন কমিশন মারফত আশ্বস্ত করা হয়েছে যে যোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে অন্যায় হলে সে ক্ষেত্রে অ্যাপিলের ব্যবস্থা থাকবে।

Related Articles

Back to top button