WBSSC Scam – এসএসসি নিয়োগ দূর্নীতি মামলায় একের পর এক দুর্নীতি মানুষের সামনে আসছে। কলকাতা হাইকোর্ট এই কেস নিয়ে নতুন নতুন নির্দেশ দিচ্ছে প্রায়ই। যদিও বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা চলছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই মামলায় (WBSSC Scam) রায়ে বেশ কিছুটা স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এই সমস্ত কিছুর মধ্যেই একটি শিক্ষিকার ওএমআর সিট ভাইরাল হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ওমআর সিট নিয়ে মুখ খুললেন খোদ শিক্ষিকা।
ভগবান গোলা এক নম্বর ব্লকের পি ডব্লিউ ডি মোড়ের বাসিন্দা রেশমা খাতুন এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফারাক্কার অর্জুনপুর হাই স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিলেন। যার ওয়েমার সিট বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হয়েছে এবং যার মধ্যে অনেক অসংগতির ছোঁয়া দেখা গিয়েছে। যদিও সেই শিক্ষিকা নিজে দাবি করছেন কোন রকম কারচুপি করে না যোগ্যভাবে পরীক্ষা দিয়েই তিনি এই চাকরি পেয়েছেন যদিও সেই সোশ্যাল মিডিয়ার ওএমআর শিট যাচাই করে দেখেনি সকালের বার্তা নিউজ পোর্টাল।
আরও পড়ুন – Mid Day Meal Recruitment – রাজ্যে বিভিন্ন জেলায় মিড ডে মিল বিভাগে কর্মী নিয়োগ করা হবে।
এই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া দেখা যাচ্ছে, যদি কোন উত্তর ভুল থাকে সেই উত্তরে white না দিয়ে মুছে দিয়ে ঠিক উত্তরে জায়গায় কালো কালি দিয়ে দাগ করে দেওয়া হয়েছে। এবং এই নিয়েই প্রায় শোরগোল পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই ঘটনা দিয়ে রেশমা জানান তিনি কোনো রকম ভাবে দুর্নীতি (WBSSC Scam) করে এই চাকরি পাননি তিনি একেবারে সঠিকভাবেই এই চাকরি নিয়েছিলেন।
(WBSSC Scam) ভাইরাল হল OMR শিট।
আসলে পরীক্ষার সময় তাড়াহুড়ো করে তিনি রোল নাম্বার ভুল লিখে ফেলেন তার ফলে তিনি পরীক্ষককে আরেকটি নতুন ওয়েমার সিট তাকে দিতে বলে। কিন্তু সেটি নিয়ম বহির্ভূত হওয়ায় পরীক্ষক এই কাজ করতে না পেরে, রেশমাকে একটি হোয়াইটনার জোগাড় করে দেন। তিনি আরো জানান, পরবর্তীতে এই হোয়াইটনার দেওয়া খাতা কম্পিউটার ও এক্সেপ্ট করে। এবং যদিও তিনি বেশ কিছুদিন হোল্ডে থাকার পর অনেকদিন পরে এই চাকরিটি পান এবং স্কুলে জয়েন করেন। স্পষ্ট বলেছেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের গাইডলাইনে কোথাও লেখা নেই যে খাতায় আপনার ব্যবহার করা যাবে না। তাহলে তার নামে এরূপ মন্তব্যের কারণ কি?
২০১৬ সালে তিনি পরীক্ষা (WBSSC Scam) দেন তারপর থেকেই তিনি ছিলেন ওয়েটিংয়ে। পরবর্তীতে 2022 সালে যখন নতুন একটি নোটিশ বের করা হয় সেই নোটিশ মোতাবেক তাকে ইন্টারভিউ এর জন্য ডাকা হয় এবং সেই ইন্টারভিউ দিয়ে তিনি এই চাকরিটি পান। এবং ২০২৩ সালে অর্থাৎ এই বছরের জানুয়ারি মাস নাগাদ তিনি স্কুলে জয়েন করেন। যদিও তার কোন কথারই সত্যতা যাচাই করিনি সকালের বার্তা নিউজ পোর্টাল।
আরও পড়ুন – Primary TET case – বাতিল ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি নিয়ে ফের মামলা এবার সুপ্রিম কোর্টে।