Small Business Idea – বর্তমানে চাকরির বাজারের অবস্থা বেশ শোচনীয়। এই অবস্থায় জীবন জীবিকা হিসাবে দেশের বেকার যুবক-যুবতীরা ব্যবসাকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। আর তাছাড়া দেশের বেকার যুবক- যুবতীরা ব্যবসা করে অর্থনৈতিক ভাবেও স্বাবলম্বী হতে পারে। অনেকে আবার চাকরির পাশাপাশিও ব্যবসা করেন। কারন চাকরিতে ধরা বাঁধা মাস মাইনা পাওয়া যায়।তাই চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করলে অতিরিক্ত কিছু টাকা ইনকাম করা যায়। তাই অনেক চাকরিজীবীই চাকরি করেও ব্যবসা করেন।
তবে শুধু করলেই তো আর হবে না। ব্যবসা করতে হলে যেমন সঠিক পরিকল্পনা দরকার, তেমনি উপযুক্ত পুঁজিরও প্রয়োজন আছে। আবার টাকা খরচ করে ব্যবসা করলেই যে লাভের অঙ্ক ঘরে আসবে এমন কথা হলফ করে বলাও সম্ভব নয়। কারন ব্যবসায় লাভ ক্ষতি উভয়ই আছে। স্বল্প পুঁজিতে ব্যবসা (Small Business Idea Low Investment) করে খুব অল্প দিনেই সাফল্যের পৌঁছানোর জন্য সঠিক পরিকল্পনা চাই।
এই ধরনের আরো প্রতিবেদন পড়তে হলে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন। |
তাই আজ আমরা আপনাদের এমন কিছু স্বল্প পুঁজির লাভ জনক (Small Business Idea Low Investment) ব্যবসার কথা বলব যে ব্যবসাগুলি করলে যে কোনো বেকার যুবক-যুবতীরা খুব সহজেই মাসে প্রচুর টাকা কামাতে পারবেন। স্বল্প পুঁজিতে ঠিক কোন ধরণের ব্যবসা করবেন জেনে নেওয়া যাক তাহলে-
১) কোচিং শুরু করতে পারেন:-
সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষা ছাড়া কোন কিছুই করা সম্ভব নয়। তাই স্বল্প বা বিনা পুঁজিতে পড়াশোনার অঙ্গ হিসাবে কোচিং ব্যবসা শুরু করতে পারেন। কারণ বর্তমানে শিক্ষার চাহিদা রয়েছে। তাই কোচিং ব্যবসা শুরু করে মাসে মোটা টাকা কামানো যেতে পারে। তবে এই ব্যবসাটি করার আগে বেশ কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যেমন-
আরও পড়ুন – ফের নতুন সুখবর! SSC-র মাধ্যমে 7500 শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে, আবেদন পদ্ধতি সহ বিস্তারিত জানুন
ক) উপযুক্ত স্থান:-
এই ব্যবসাটি শুরু করার আগে উপযুক্ত ব্যবসার স্থান বা জায়গা নির্বাচন করে ব্যবসাটি শুরু করতে হবে।
খ) বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক নির্বাচন:-
কোচিং এর জন্য বিষয় ভিত্তিক ভালো মানের শিক্ষক নির্বাচন করতে হবে।
গ) কোচিং ফী নির্ধারণ:-
কোচিং ফী নির্ধারনের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই বর্তমানে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনা করে অল্প পয়সার বিনিময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।
ঘ) কোচিং ক্লাসের সময় নির্বাচন:-
কোচিং এর ক্ষেত্রে অতি প্রয়োজনীয় বিষয় হল ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধা মতো কোচিং ক্লাসের সময় নির্বাচন করা।
২) ধুপ কাঠির ব্যবসা: –
যে কোন পূজা পার্বণের অতি প্রয়োজনীয় জিনিস হল ধুপকাঠি। সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে এই বস্তুটির চাহিদা অপরিসীম।যা ছাড়া চলেই না।স্বল্প পুজিতেই আপনি আপনার বাড়িতে ধুপকাঠির ব্যবসা শুরু করতে পারেন।তবে এই ব্যবসাটি শুরু করার আগে আপনাকে অবশ্যই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। সেগুলি হল-
ক) ধুপ কাঠি তৈরির কাঁচা মাল: –
ধুপকাঠি তৈরি করতে কাঠ-কয়লার গুঁড়ো, চন্দন গুড়ো, বাশের লাঠি, পারফিউম, জিগাত পাউডার, হোয়াইট চিপস পাউডার, কাগজের বাক্স, ধুপকাঠি মোড়ানোর কাগজ, কুপাম ডাস্ট ইত্যাদি জিনিসগুলি প্রয়োজন। যে কোনও পাইকারি বাজার থেকে এই সরঞ্জামগুলি সহজেই পেয়ে যাবেন।
খ) ধুপ কাঠি তৈরির পদ্ধতি:-
ইউটিউব থেকে ধূপকাঠি তৈরির পদ্ধতি দেখে নিতে পারেন।একবার দেখে নিয়ে খুব অল্প সময়ে আপনি ধুপ কাঠি তৈরির পদ্ধতি শিখে নিতে পারবেন।
গ) ধুপকাঠি তৈরির মেশিন:-
বাজার থেকে সহজেই ধুপকাঠি বানানোর মেশিন গুলি জোগাড় করে নিতে পারবেন।এই ব্যবসাটি করার জন্য তিন ধরণের মেশিনের প্রয়োজন। যেমন- ধুপ কাঠি তৈরির কাঁচামালকে একত্রিত করণ, ধুপ কাঠি তৈরি -এবং ধুপ কাঠি তৈরির পর তা ভালো ভাবে শুকানো।
ঘ) ট্রেড লাইসেন্স:-
যে কোন ব্যবসা শুরু করলে লাইসেন্সের প্রয়োজন।এই ব্যবসাটি করার ক্ষেত্রে স্থানীয় পঞ্চায়েত বা পুরসভা থেকে আপনি সহজেই ট্রেড লাইসেন্স পেয়ে যাবেন।
৩) মুরগী পালন ব্যবসা:-
দিনের পর দিন মুরগীর মাংসের চাহিদা বাড়ছে।তাই আপনার বাড়িতে যদি অল্প জায়গা থাকে তাহলে আপনি বাড়িতেই এই মুরগী পালনের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসার হাত ধরেই আপনি সহজেই একজন আদর্শ ব্যবসায়ী হয়ে উঠতে পারেন।তবে এই ব্যবসা করার আগে আপনাকে অবশ্যই কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে।যেমন-
ক) ব্যবসার স্থান বা জায়গা নির্বাচন:-
নিজের বাড়িতে বা অল্প পয়সায় লিজ নিয়ে ব্যবসার জন্য আদর্শ জায়গা নির্বাচন করতে হবে।
খ) মোরগ বা মুরগী নির্বাচন:-
বাজার থেকে ভালো জাতের মুরগী বা মোরগ নির্বাচন করতে হবে।
গ) মুরগীর খাবার:-
সবার প্রথমে মোরগ বা মুরগীর খাবার অবশ্যই মজুত রাখতে হবে।
ঘ) মোরগ বা মুরগীর রোগ ব্যাধি:-
মুরগী বা মোরগের রোগ হলে কোন পশু চিকিতসকের পরামর্শ অনুযায়ী ভ্যাক্সিন এবং চিকিৎসা করানো প্রয়োজন।
ঙ) মোরগ বা মুরগীর প্রজনন বা বংশ বৃদ্ধি: –
চাষ যোগ্য মোরগ বা মুরগির প্রজনন বা বংশ বৃদ্ধির বিষয়টি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।
যে কোন ব্যবসা শুরুর আগে যে বিষয়টির ওপর সবচেয়ে বেশি নজর দিতে হবে হল বর্তমান বাজারে কোন ধরণের জিনিসের বেশি চাহিদা রয়েছে,সেই অনুযায়ী ব্যবসা (Small Business Idea) শুরু করতে হবে। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসা শুরু করলে খুব সহজেই লাভবান হতে পারেন। আপনিও নতুন কোন ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন কি? তাহলে আর দেরি না করে এই ব্যবসাগুলি শুরু করতে পারেন।
এই ধরনের আরো প্রতিবেদন পড়তে হলে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন। |