Primary TET – প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবার বড় খবর সামনে আনল সিবিআই। সম্প্রতি তদন্তকারী সংস্থা সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন অযোগ্য শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। সিবিআই এর জেরার মুখে পড়ে এবার মুখ খুলছেন শিক্ষকেরা। শিক্ষকেরা জেরায় জানিয়েছেন তারা টেট অনুত্তীর্ণ। অর্থাৎ প্রাথমিক শিক্ষকরা (Primary TET) টেট পাশ করেননি, অথচ এতদিন থেকে তারা চুটিয়ে চাকরি করছেন। শুধু চাকরি করাই নয়, মাস গেলে মোটা অংকের বেতনও পাচ্ছেন। টেট পাস না করেই কী করে শিক্ষকতা করছেন। এটা সম্ভব কী করে?
কয়েকজন শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদে করে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সিবিআই প্রায় দুই মাস আগে বিভিন্ন জেলার কর্মরত শিক্ষকদের তথ্য চেয়ে পাঠায়। সেই তথ্য থেকে ঝাড়াই-বাছাই করে অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকা তৈরি করে সিবিআই। এই তালিকা অনুযায়ী কয়েক জেলার শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়। টেট নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টেট (Primary TET) অনুত্তীর্ণ শিক্ষকরা এই প্রথম কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়লেন।
Primary TET কাণ্ড নিয়ে সিবিআই এর জিজ্ঞাসাবাদে শিক্ষকরা কি বললেন?
কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ এই চার জেলার অযোগ্য শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছেন সিবিআই। এই চার জেলার মোট ৩০-৩৫ জন প্রাথমিক শিক্ষককে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। সিবিআই দুদিন ধরে অযোগ্য শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এই জিজ্ঞাসাবাদে শিক্ষকদের একাংশ যা বলেছেন তাতে রীতিমত মাথা ঘুরে যাওয়ার মত তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে এই সমস্ত প্রার্থীরা ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষা (Primary TET Exam) দিয়েছিলেন। তবে তারা টেট পাশ করতে পারেননি। তাও এই সমস্ত প্রার্থীদের প্রাথমিকের শিক্ষকপদে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন – Paramparik scholarship – মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিকে ৪০ শতাংশ নাম্বার পেলে পাবেন ১০ হাজার টাকা।
টেট পাশ না করেও শিক্ষক পদে চাকরি পেলেন কি করে তা নিয়েই মূলত জিজ্ঞাসা করা হয়। সিবিআই এর জিজ্ঞাসাবাদে টেট অনুত্তীর্ণ শিক্ষকরা জানিয়েছেন কেউ কেউ সরাসরি, আবার কেউ জেলার মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে যোগাযোগ করেছিলেন। এতেই বোঝা যাচ্ছে যে টাকার বিনিময়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এই সব অযোগ্য শিক্ষকদের চাকরি দিয়েছেন। শিক্ষক নিয়োগ মামলায় (Primary TET) সিবিআই সকল শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাদের বয়ানও রেকর্ড করছে।
আপাতত চার জেলার অযোগ্য শিক্ষকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে। শুক্রবার থেকে এই জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, রবিবারও তা অব্যাহত ছিল এবং আগামী কয়েকদিন এই জিজ্ঞাসাবাদ চলবে। এরপর বাকি জেলার অযোগ্য শিক্ষকদেরও ডাকা হবে। পরপর জেলা ভিত্তিক শিক্ষকদের ডাকবে সিবিআই। টেট পাশ না করেও এই সমস্ত অযোগ্য শিক্ষকদের কি করে শিক্ষক পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে এবং এই সমস্ত শিক্ষকরা পর্ষদে কার সঙ্গে দেখা করেছিলেন সিবিআই এখন সেটাই জানতে চাইছে।
আরও পড়ুন – Primary Teacher Merit List – কবে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল প্রকাশ হচ্ছে? যা জানালো পর্ষদ