Education Policy – গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলিতে বাধ্যতামূলকভাবে কর্মজীবনের একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য চাকরি করতেই হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। রাজ্যের তরফে নতুন শিক্ষানীতিতে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত দেখা যেত, শিক্ষক-শিক্ষিকা পদে নিয়োগের পরেই তারা অধিকাংশই শহরাঞ্চল বা শহরের বিভিন্ন স্কুলে নিয়োগ পাওয়ার জন্য আবেদন করতেন। কিন্তু নতুন নিয়মে চাকরি করতে হলে মানতেই হবে এই নিয়ম।
আর একশ্রেণীর শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশকে ইদানিং আবার কাছাকাছি স্কুলে ট্রান্সফার পাওয়ার জন্য হাইকোর্টেও আবেদন করতে দেখা গিয়েছে। এবার রাজ্যের তরফে নতুন শিক্ষানীতি নিয়ে (State Government New Education Policy) আসা হয়েছে। সেখানে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কর্মজীবনের 5 বছর গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতা করতেই হবে।
West Bengal New Education Policy.
পাশাপাশি, এই শিক্ষানীতিতে বাংলা ভাষার উপরে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইংরেজি ভাষাকেও শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে উপযুক্ত গুরুত্ব দিতে হবে। তৃতীয় ভাষা হিসেবে হিন্দি, সংস্কৃত এবং বাংলাকে রাখার নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।
রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে একাধিক অভিযোগের উপর দাঁড়িয়ে শিক্ষা নীতি বদলানোর জন্য রাজ্য সরকারের তরফে একটি (Education Review Committee) কমিটি তৈরি করা হয়।
সেই কমিটি সুপারিশ করে জেলা ও গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলিতে প্রতিটি শিক্ষক-শিক্ষিকাকে অন্ততপক্ষে কর্মজীবনের 5 বছর বাধ্যতামূলক শিক্ষকতা (New Guidelines for Teachers) করতেই হবে। এছাড়াও শিক্ষকদের প্রমোশনের বিষয়টি নির্ভর করছে তাদের Performance-এর উপর। শুধু তাই নয়, প্যারা টিচারদের ক্ষেত্রেও তাদের পারফরম্যান্সের বিষয়ে নিয়মিত সার্ভে পড়বে স্কুল শিক্ষা দপ্তর।
Guidelines for Teachers of New Education Policy.
নতুন শিক্ষানীতিতে আরো জানানো হয়েছে, ছাত্র এবং শিক্ষকের অনুপাত এর উপর ভিত্তি করেই ট্রান্সফারের জন্য জেনারেল পলিসি গ্রহণ করা (General Policy for Transfer) হবে। নিয়োগ এবং পোষ্টের অনুমোদনের ক্ষেত্রেও ছাত্র শিক্ষকের অনুপাতের ওপরই গুরুত্ব দেওয়া হবে। ধাপে ধাপে ২০৩৫ সালের মধ্যে নতুন শিক্ষানীতি পুরোপুরি বলবৎ করা হবে।
নতুন শিক্ষানীতিতে মাতৃভাষার উপর গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। বাংলা এবং ইংরেজি ভাষাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাদান করতে হবে শিক্ষক- শিক্ষিকাদের। কমিটির সুপারিশে আরো বলা হয়েছে, ডাক্তারদের যেভাবে গ্রামের হাসপাতালগুলিতে অন্ততপক্ষে ৫ বছর চিকিৎসা পরিষেবা দিতে হয় বা চাকরি করতে হয়, ঠিক একইভাবে শিক্ষক- শিক্ষিকাদেরও গ্রামাঞ্চলের স্কুলগুলিতে অন্ততপক্ষে কর্মজীবনের 5 বছর চাকরি করতে হবে। আর শিক্ষা দপ্তরের তরফে তৈরি করে দেওয়া কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এই নতুন শিক্ষানীতি গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন – রাজ্যে ২৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ফের বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!