প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ভারতবর্ষের দারিদ্র সীমার নিচে বাস করা বহু মানুষকে সাহায্যের জন্য নানান প্রকল্পের সৃষ্টি করেছে। এবার মহিলাদের স্বনির্ভর করার জন্য এক প্রকল্পের সৃষ্টি করেছেন। প্রকল্পটির নাম স্বর্ণিমা স্কিম (Swarnima Scheme)। যে সমস্ত মহিলারা সম্প্রতি নিজের ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন তারা এই প্রকল্পে নাম লেখাতে পারবেন।
মোদি সরকার পরিচালিত বহু প্রকল্পের দ্বারা ভারতবর্ষের কৃষক থেকে হকার শ্রেণীর মানুষেরা খুবই উপকৃত হয়েছিল। রাস্তার ধারে যেসব ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা অল্প মূলধন জোগাড় করে ব্যবসা করতে চান সেই সমস্ত মানুষদের সাহায্য করার জন্য পিএম স্বনিধি প্রকল্পটি চালু করা হয়েছিল। তবে এবার মহিলাদের স্বনির্ভর করার জন্য কেন্দ্র সরকার এক বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
মহিলাদের জন্য যে প্রকল্পটির রূপায়ণ করা হয়েছে ঐ প্রকল্পের নাম ‘নতুন স্বর্ণিমা ঋণ প্রকল্প’। ন্যাশনাল ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ফিনান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন অর্থাৎ NBCFDC এই প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া অনগ্রসর শ্রেণীর মহিলাদের ঋণ প্রদান করে। এই প্রকল্প থেকে মহিলারা ঋণ নিয়ে নিজের ব্যবসা শুরু করে স্বনির্ভর হতে পারবে।
আরও পড়ুন – আর মিলবে না বিনামূল্যে রেশন! ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে না করলে এই কাজ।
Swarnima Scheme প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য যোগ্যতা
১) এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঋণ নিতে পারবে কেবলমাত্র মহিলা প্রার্থীরা।
২) ঋণ গ্রহীতার বয়স সীমা হতে হবে ১৮ বছর থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে।
৩) যে মহিলার নামে স্বর্ণিমা ঋণটি নেওয়া হবে তার নামেই কিন্তু ব্যবসাটি খুলতে হবে। যার নামে লোন নেওয়া হবে এবং যার নামে ব্যবসাটি খোলা হবে দুটো কাজের জন্য ব্যক্তিটিকে এক থাকতে হবে, পৃথক ব্যক্তি হলে চলবে না।
৪) লোন গ্রাহীতাকে অবশ্যই অনগ্রসর শ্রেণীর মানুষ হতে হবে।
৫) পারিবারিক আয় বছরে তিন লক্ষ টাকার কম হতে হবে।
নতুন Swarnima Scheme প্রকল্পের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময় পর একজন মহিলার নামে সর্বাধিক দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন করা যেতে পারে। এই লোনের জন্য বছরে ৫% সুদ দিতে হয়। এই লোন নেওয়ার জন্য বছরে তিন লক্ষ টাকা পারিবারিক আয় হতে হবে। হিসাব করলে দাঁড়ায় প্রতিমাসে গ্রাহককে এই ঋণের জন্য ৪২ পয়সা সুদ দিতে হয়।
এছাড়াও ঋণ গ্রহণ করার সময় গ্রাহকের আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার কার্ড, বিজনেস সার্টিফিকেট দরকার হবে। www.nbcfdc.gov.in এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে গ্রাহকরা ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঋণ নেওয়ার আরেকটা বড় সুবিধা হল যে ঋণ গ্রহীতারা প্রতি তিন মাস অন্তর ইএমআই-এর টাকা জমা দিতে পারবেন।