PM Kisan Yojana: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের নাগরিকদের সুবিধার জন্য একাধিক জনকল্যাণমুখী প্রকল্প চালু করেছেন। এই সব প্রকল্পগুলি চালু করার উদ্দেশ্যই হল দেশের নাগরিকদের সাহায্য করা। দেশের কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতির সাহায্যের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা চালু করেছেন।
অনেক সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, খরার ফলে চাষ জমিতে ফসলের ভালো ফলন হয় না। এর জন্য অনেক কৃষককে লোকসানের মুখ দেখতে হয়। এর ফলে অনেক কৃষক হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েন,এমনকি অনেকে আত্মহত্যার মত পথও বেছে নেন। তাই আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের সাহায্যের জন্য কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা চালু করেছেন।
আরও পড়ুন- ব্যাপক ক্ষতি LIC-র! ৫০ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি।
এই প্রকল্প চালু করার মূল উদ্দেশ্যই হল সকলের অন্নদাতা অর্থাৎ কৃষকদের বার্ষিক নুন্যতম রোজগার প্রদান করা। ২৪ শে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । “PM Kisan Yojana” প্রকল্পটি চালু করেন। দেশ জুড়ে লাখ লাখ মানুষ এই কিষাণ সম্মান নিধি যোজনা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন এবং এই প্রকল্পের সুবিধা উপভোগ করছেন।
যে সমস্ত কৃষকদের নামে চাষ যোগ্য জমি রয়েছে তারা সবাই প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার সুবিধা পান।এই প্রকল্পের আওতায় সকল কৃষকদের বার্ষিক ৬ হাজার টাকা ভাতা প্রদান করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকরা এখনও পর্যন্ত মোট ১২টা কিস্তির টাকা পেয়েছেন। দেশ জুড়ে লাখ লাখ কৃষক এখন প্রধানমন্ত্রী কিসান সম্মান নিধি যোজনার আওতায় ১৩ তম কিস্তির টাকার অপেক্ষার প্রহর গুনছেন।
আরও পড়ুন – LIC -এই পলিসিতে একবার টাকা দিলে, পাবেন ৫ বছরে ৫ লাখ, রয়েছে আরোও অনেক সুবিধা।
কিন্তু এই ১৩ তম কিস্তির টাকা নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। কারণ বর্তমানে অনেক কৃষকদের মোবাইলে মেসেজ এসছে কিছু নতুন নথিপত্র জমা দিতে হবে। এই মেসেজে চাষের জমির পর্চা, আধার কার্ড, ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের পাস বই এর জেরক্স ও ভোটার কার্ড জমা করতে হবে। সকল কৃষককে কিছু দিনের মধ্যেই সকল নথি নিয়ে নিজেদের কাছের ব্লক অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
PM Kisan যোজনার আগের নথিভুক্ত ও নতুন যেই সকল কৃষকেরা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করাতে চাইছেন, তাদের সকলকেই এই নিয়ম মানতে হবে। আর এই নিয়েই নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।কারন রাজ্যের অনেক কৃষকের কাছে এই ধরণের কোন মেসেজ আসেনি। সেই সকল কৃষকদের কোন মেসেজ আসেনি,তারা সমস্যায় পড়েছেন।
এই নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা জল্পনা দানা বেধেছে। অনেকের বক্তব্য যে অনেক ক্ষেত্রে অযোগ্য প্রার্থীদের নামের তালিকা বের করার জন্য এই কাজ করা হচ্ছে। আবার অনেকে মনে করছেন সকলেরই নিজেদের পার্শ্ববর্তী কৃষি অফিস বা ব্লকে গিয়ে এই বিষয়ে খোঁজ নেওয়া দরকার।
তবে এখন প্রশ্ন উঠছে যারা এই সকল নথি জমা করবে না, তাদের প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে কি? এই সব কৃষকেরা পি এম কিষান যোজনার ১৩ তম কিস্তির টাকা পাবে কি এখন সেটাই দেখার বিষয়।