Primary TET Scam – শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত এক বছরে অনেকের নাম জড়িয়েছে। অনেক নেতা মন্ত্রীর নাম প্রকাশ্যে এসেছে, এমনকি তাদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। অনেককে গ্রেফতারও করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই বর্তমানে জেলে রয়েছেন। টাকা দিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ কিছু দিন আগে চার শিক্ষককে গেফতার করা হয়। ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁরা টাকা দিয়ে বেআইনিভাবে প্রাথমিকে চাকরি (Primary TET Scam) পেয়েছিলেন।
ধৃত ওই চার শিক্ষক মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। ওই শিক্ষকদের নাম সাইগার হুসেন, সমীর হুসেন, জাহিরউদ্দিন শেখ ও সৌগত মণ্ডল, এরা প্রত্যেকেই প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক সিবিআই-এর কাছে ওই শিক্ষকরা স্টেটমেন্ট দিয়েছেন তারা প্রত্যেকেই প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক পদের জন্য টাকা দিয়েছিলেন।
4 teachers arrested in Bengal Primary TET Scam.
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে সৌগত মন্ডল ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। সায়গল হোসেন দিয়েছিলেন ৬ লক্ষ টাকা। সিমার হোসেন ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। জাহিরউদ্দিন শেখ ৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। ধৃত চারজন শিক্ষক যে টাকার বিনিময়ে চাকরি কিনেছিলেন, সেই তথ্য চার্জশিটের মাধ্যমে আদালতে জানিয়েছেন সিবিআই।
আরও পড়ুন – Digital Birth Certificate – সকলকে বানাতে হবে ডিজিটাল বার্থ সার্টিফিকেট, পার্লামেন্টে পাশ নতুন আইন!
আদালতে ওই চার শিক্ষককে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিচারক তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান। গ্রেফতার হওয়া চার শিক্ষককে মুর্শিদাবাদের প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠানো হয়। আগামী ২১ অগাস্ট অবধি তাদের রাখার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু ১২ দিন জেলে থাকার পরেই শনিবার ধৃত চারজন শিক্ষক জামিন পেলেন।
ওই চার শিক্ষক ১২ দিন হাজতবাসে কাটানোর পর আপাতত তাদের স্বস্থি মিলল। ১২ দিন হাজতে থাকার পর শনিবার ১৯ আগস্ট এই শিক্ষকদেরকে আদালতে তোলা হয়। আদালত নিয়োগ দুর্নীতি (Primary TET Scam) কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া চার শিক্ষকের জামিন মঞ্জুর করেছেন। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত শিক্ষকরা তদন্তে সহযোগিতা করবে বলে সিবিআই (CBI) আদালতে জানিয়েছেন। এরপরেই বিচারক ওই শিক্ষকদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
বেআইনিভাবে টাকা দিয়ে অনেকেই চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু এর আগে কোন শিক্ষককেই গ্রেফতার করা হয়নি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Bengal Recruitment Scam) এই প্রথম কোনও শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃত শিক্ষকরা সিবিআই-এর তদন্তে সহযোগিতা করায় আদালত তাদের জামিন দিয়েছেন। ১২ দিন হাজতবাসের পর ওই শিক্ষকদের অবশেষে স্বস্থি মিলল।