RBI: ৮ ই নভেম্বর ২০১৬ তে নোট বন্দি হওয়ার পর থেকে মানুষ টাকা ব্যাংকে রাখতে শুরু করেছে, আর যত দিন যাচ্ছে ততই লেনদেনে ক্যাশলেস চালু করছে কেন্দ্র সরকার, যার ফলে মানুষ আগের তুলনায় পোস্ট অফিস ব্যাংক এ একাউন্ট বেশি ব্যবহার করছে। তাছাড়াও মানুষ তার ভবিষ্যতের সঞ্জয় অর্থটুকু ব্যাংকে পোস্ট অফিসে রাখেন। সরকারি ব্যাংকের পাশাপাশি যত বেসরকারি ব্যাংক আছে তাতেও সুদের হার বাড়িয়ে দেওয়াতে মানুষ সেদিকে ছুটছে।
ভবিষ্যত সুনিশ্চিত করতে আজকাল সকলেরই অবশ্যই টাকা সঞ্চয় করে রাখা উচিত। তাই আজকাল প্রায় সকলেই কোনো না কোনো ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা সঞ্চয় করে রাখেন।সরকারি ব্যাংকের পাশাপাশিও যেসব ব্যাংকের সুদের হার বেশি, সেই সব ব্যাংকে মানুষ অ্যাকাউন্ট বেশি খুলে থাকেন। এক কথায় বলতে গেলে গ্রাহকদের জন্য এখন ব্যাংক পরিষেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।মানুষ ডিজিটাল দুনিয়ার সাথে পাল্লা দিয়ে চলতে গিয়ে প্রায় সকলেই কোনো না কোনো ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা সঞ্চয় করেন।
তবে এবার আরবিআইয়ের এক সিদ্ধান্তের জন্য বড়সড় দুঃসংবাদ পেতে চলেছেন এই ব্যাংকের গ্রাহকরা।রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বা আরবিআই সম্প্রতি একটি বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা একটি কো-অপারেটিভ ব্যাংকের ওপর কড়া পদক্ষেপ নিয়ে লাইসেন্স বাতিল করার পথে এগিয়েছে। এই ব্যাঙ্কের লাইসেন্স বাতিলের সময় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক স্পষ্ট জানিয়েছে এই ব্যাঙ্কটির পর্যাপ্ত মূলধন নেই।সেই কোঅপারেটিভ ব্যাংকটি কি?
কর্নাটকের ডেকান আরবান কোঅপারেটিভ ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ২০২২ সালের ১৮ই আগস্ট থেকে তাদের ব্যাঙ্ক লাইসেন্স বাতিল হল। এই পরিস্থিতিতে আরবিআই রেজিস্টার অফ কোঅপারেটিভ ব্যাংক কমিটির কাছে এই ব্যাংকের সমস্ত টাকা ম্যানেজ করার দায়িত্ব দিয়েছে।এর জন্যভএক স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে ডেকান আরবান কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কের উপার্জনের কোনও উপায় ছিল না। তাই আরবিআই কর্ণাটকের এই সমবায়ী ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে এই কড়া পদক্ষেপ করেছে। শুধু তাই নয়, ব্যাঙ্কটির আর্থিক অবস্থাও খুবই খারাপ ছিল এবং ব্যাঙ্কে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার মতো মূলধনের ছিল না।পাশাপাশি এই ব্যাঙ্কের উপার্জনের সম্ভাবনাও নেই।
তাই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এই ব্যাংকের উপর কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে।তবে এই ব্যাংকে যে গ্রাহকদের টাকা রয়েছে তাদের ভয় পাওয়ার কোন দরকার নেই। যে সমস্ত গ্রাহকদের টাকা ডেকান আরবান কো-অপারেটিভ ব্যাংকে জমা আছে তারা ৫ লক্ষ টাকা জমার ওপর বীমা সুবিধা পাবেন।এই বিমা দেওয়া হবে ডিপোজিট ইস্যুরেন্স অ্যান্ড ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশনের প্রকল্পের আওতায়।