15000 শিক্ষককে বেআইনি ভাবে নিয়োগ, Primary TET 2016 পুরো প্যানেল বাতিলের সম্ভাবনা
২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত নিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকরা যেন মহা সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছেন। প্রাইমারী টেট ২০১৬ তথা ২০১৭ সালের প্রাথমিক শিক্ষকেরা এই মুহুর্তে মহা টেনশনে রয়েছেন। কারন পুরো প্যানেল বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই ১৫০০০ শিক্ষকের লিস্ট প্রকাশিত হলেও প্রায় অর্ধেক শিক্ষকের চাকরি সঙ্কটে পড়বে।এই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে বলে ইডি-র দাবি।
সুত্র মারফত খবর ইডি এর কাছে এখনও পর্যন্ত ১৫ হাজার শিক্ষকের তালিকা রয়েছে। Primary TET 2016 তথা ২০১৭ শিক্ষক নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। পুরো প্যানেল বাতিল করা হবে কিনা এই নিয়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও বেশ চিন্তিত রয়েছেন। কারন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় চাইছেন না যে পুরো প্যানেল বাতিল করা হোক। বিচারপতির দাবি যারা স্বচ্ছ ভাবে চাকরি পেয়েছেন এতে তাদেরও চাকরি যেতে পারে।
এই ধরনের আরো প্রতিবেদন পড়তে হলে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন। |
বিচারপতি বলেছেন ২০১৪ সালের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল করে দেওয়া যায় কিন্তু এতে যোগ্যদের সাথে অবিচার করা হবে। কিন্তু এই দুর্নীতির মহাসাগর থেকে আসল রত্নদের খুঁজে বের করতেই হবে। আসল রত্নদের খুঁজে বের করা খুব অসম্ভব ব্যাপার, কারন সব OMR শিট পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তাদের মূল্যায়ন করা খুব কঠিন হবে।
আর দেশের সংবিধান, নির্দোষ কে শাস্তি দেওয়া সমর্থন করে না। পুরো প্যানেলই যে দুর্নীতিগ্রস্ত এটা বলাও সম্ভব নয়। কারন এই লিস্টে সবাই তো আর ভুয়ো নন, অনেকেই নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছেন। সঠিক ভাবে চাকরি পাওয়া প্রার্থী প্রচুর রয়েছে। অনেকেই উচ্চ শিক্ষিত সম্পন্ন শিক্ষক রয়েছেন। রিপোর্ট অনুযায়ী পাওয়া খবর ২০১৭ সালে নিযুক্ত ৪০০০০ শিক্ষকের মধ্যে একাধিক নাম আছে যারা PHD করেছেন।
আরও পড়ুন – কোনো রকম লিখিত পরীক্ষা ছাড়াই ১৩ হাজার শুন্যপদে GDS কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে
২০২২ সালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী পরেশ অধিকারির মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে প্রথম চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেয় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তারপর থেকেই রাজ্যের রাজনৈতিক মন্ত্রীসভার একাধিক সদস্যের ঘুম উড়ে গিয়েছে। একের পর এক হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীর নাম উঠে এসেছে। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী থেকে বোর্ড সভাপতি সকলের নাম জড়িয়েছে এই নিয়োগ দুর্নীতিতে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একের পর এক নজির বিহীন তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। এই নিয়ে বারবার আদালতে কড়া প্রশ্নের উত্তর দিতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। গত ১ বছর ধরে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে কোণঠাসা হচ্ছে রাজ্য।বারংবার ভৎসনার মুখে পড়ছে রাজ্য সরকার। এক দিকে রাজ্যের ডিএ মামলা তারপর একের পর এক দুর্নীতিতে রাজ্য সরকারের নাম বারবার জড়িয়ে পড়ছে।রাজ্যের অবস্থা খুবই দিশেহারা।
এই ধরনের আরো প্রতিবেদন পড়তে হলে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হন। |