Mini Lakshadweep: বেড়াতে যেতে প্রতিটি মানুষেরই খুব ভালো লাগে। প্রতিদিনের ব্যস্ততার জীবন থেকে কিছুটা দূরে অন্যরকম আবহাওয়া মধ্যে কয়েক দিন কাটাতে কার না মন চায় বলুন তো। আর এই বেড়ানোর স্থানটি যদি লাক্ষাদ্বীপ হয় তাহলে তো সোনায় সোহাগা। ভৌগলিক মতে অসংখ্য মৃত প্রবাল কীট সঞ্চিত হবার ফলে এই লাক্ষাদ্বীপের সৃষ্টি হয়েছে এই কারণে লাক্ষা দ্বীপের অপর নাম প্রবাল দ্বীপ’। তবে অজস্র টাকা খরচ না করে সামান্য কিছু টাকাতেই পৌঁছে যাওয়া যেতে পারে মিনি লাক্ষা দ্বীপে।
আরও পড়ুন – Hooghly historical places: একদিনে ঘুরে আসতে পারেন হুগলি জেলার এই ৫টি ঐতিহাসিক জায়গা থেকে।
লাক্ষা দ্বীপের নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে নীল জলরাশি, সবুজ বন, ওয়াটার ভিলা, সামুদ্রিক খাবার প্রভৃতি। ঋতু ভেদে লাক্ষা দ্বীপে পৌঁছে যান দেশ বিদেশের পর্যটকেরা। ভারতের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর মধ্যে সবথেকে সুন্দর হল লাক্ষাদ্বীপ। লাক্ষাদ্বীপ এত সুন্দর হওয়ার কারণে এখানে যাতায়াত খরচ, থাকা খাওয়া প্রভৃতি নিয়ে পর্যটকদের পকেট থেকে মোটা অংকের টাকা ব্যয় হয়। তাই লাক্ষা দ্বীপে না গিয়ে কাছাকাছি মিনি লাক্ষাদ্বীপ থেকে ঘুরে আসুন।
কলকাতার খুব কাছেই রয়েছে এই লাক্ষাদ্বীপেরই একটা টুকরো। আর এই জায়গাটিতে যেতে গেলে সামান্য কিছু অর্থ ব্যয় করতে হয়। জায়গাটি কলকাতা থেকে মাত্র পাঁচ ঘন্টার দূরত্বে ঝাড়খণ্ডের মধ্যে রয়েছে। এই জায়গাটির নাম চান্ডিল ড্যাম।সুবর্ণরেখা নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এই ড্যাম। এই ড্যামের জল নীল রঙের সে কারণেই এটিকে মিনি লাক্ষা দ্বীপ (Mini Lakshadweep) বলা হয়।। দলমা পাহাড়ের সুবিস্তৃত রেঞ্জ স্পষ্ট ভাবে দেখা যায় এই ড্যাম থেকে।
আরও পড়ুন – এই শীতে কলকাতার কাছে সেরা ৫ টি পিকনিক স্পটে বেড়িয়ে আস্তে পারেন পরিবারের সাথে।
এই চান্ডিল ড্যাম থেকে আশপাশের কিছু জায়গা ঘুরে দেখা যেতে পারে। এই ড্যামের কাছে রয়েছে জয়দা শিব মন্দির, পাখি পাহাড়, পালনা ড্যাম সহ নানান ট্যুরিস্ট স্পট। এখন তো বেশ ঠান্ডার সময় চলছে, এই সময় মিনি লাক্ষাদ্বীপকে ঘুরে জায়গাটিকে উপভোগ করুন।