Krishak Bandhu – আর কিছুদিন পরেই শুরু হবে ২০২৪ এর লোকসভা ভোট। আর এই লোকসভা ভোটের জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি ইতিমধ্যে জয়লাভের আশায় প্রচারে নেমে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কিছুদিন আগে পাহাড় সফরে গিয়েছিলেন। শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে (Kanchan Janga Stadium) এক সভায় তিনি যোগদান করেছিলেন। ওই সভাতে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (CM Mamata Banerjee) বলেছিলেন যে কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ৫০০০ টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হল। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা ও স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ওই সভাতে বক্তৃতা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি জানিয়েছিলেন “এখনও পর্যন্ত ১৭১৮১ কোটি টাকা কৃষকদের দান করেছি। আজ মঙ্গলবার ১ কোটি ১ লাখ কৃষককে মোট ২ হাজার ৮০৬ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে খারিপ মরসুমে ১ কোটি ১ লাখ কৃষককে সাহায্য দেওযা হয়েছিল।
আরও পড়ুন – Eshram card : এই ভাবে আবেদন করলে, ৩০০০ টাকা করে পাবেন ই-শ্রম কার্ড থাকলে।
Krishak Bandhu প্রকল্পে কারা কত টাকা পাবে?
যাঁদের দু একর জমি আছে তাঁরা বছরে ১০ হাজার টাকা পান। আর যারা ভাগচাষী, তাদের ৪ হাজার টাকা দেওয়া হয় বছরে”। মুখ্যমন্ত্রী পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন যে তিনি যখন এই প্রকল্প শুরু করেন তখন ৩৯ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। কিন্তু এখন পশ্চিমবঙ্গের প্রায় দুই কোটি কৃষক কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধা উপভোগ করছেন। যে সমস্ত কৃষকরা মারা গেছে তাদের পরিবার দু লক্ষ টাকা করে জীবন বিমার সুবিধা পেয়েছে।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের (Krishak Bandhu) মাধ্যমে রবিশস্য এবং খারিফ শস্য চাষের জন্য টাকা পেয়ে থাকে কৃষকরা। অক্টোবর থেকে মার্চ মাসের মধ্যে রবিশস্য চাষের জন্য এবং এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে খারিফ শস্য চাষের জন্য কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেয় রাজ্য সরকার। যে সমস্ত কৃষকদের এক একর জমির রয়েছে তাদের বছরের ৪০০০ টাকা এবং যাদের এক একরের থেকে বেশি জমি আছে তাদের বছরে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা ঢুকেছে কিনা জানবেন কিভাবে?
১) প্রথমে আপনাকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের (Krishak Bandhu) অফিসিয়াল ওয়েবসাইট krishakbandhu.net এ যেতে হবে।
২) সেখানে কৃষকদের তথ্য নথিভূক্ত থাকা একটি অপশন পাওয়া যাবে। ওই অপশনে গিয়ে ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর এন্ট্রি করতে হবে।
৩) ভোটার নম্বর এন্ট্রি করার পর যদি ট্রানজেকশন সাকসেসফুল দেখায় তাহলে জানতে হবে যে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের কিস্তির টাকা অ্যাকাউন্টে চলে এসেছে।
৪) এরপর ব্যাংক ব্যালেন্সটি চেক করে দেখে নেবেন যে টাকাটি আদৌ ব্যাঙ্কে পৌঁছেছে কিনা। আপনারা ব্যাংক স্টেটমেন্ট চেক করেও দেখতে পারেন যে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে (Krishak Bandhu) টাকা আপনার অ্যাকাউন্টে এসেছে কিনা।