রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চলছে। এই ডিএ নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছে। ফের ডিএ নিয়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে।রাজ্য সরকারি কর্মীরা তাদের মহার্ঘ ভাতার দাবিতে গত ২৭ জানুয়ারি থেকে আন্দোলনে নেমেছেন। রাজ্য সরকারি কর্মীরা লাগাতার অনশন করে চলছেন। কর্মীদের দাবি ডিএ বাড়িয়ে কেন্দ্রীয় হারে ৩৮ শতাংশ করতে হবে।
কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীরা দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছেন। লাগাতার অনশনের মাঝে বুধবার রাজ্য বাজেট ঘোষণা করা হয়। বিধানসভার এই বাজেটে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ৩ শতাংশ অতিরিক্ত মহার্ঘ ভাতার কথা ঘোষণা করেছেন।এই বাজেট ঘোষনার পরেই রাজ্য সরকারি কর্মীরা কার্যত আরও ফুসে ওঠেছে। তাদের মতে এই ডিএ দেওয়ার নামে সরকারি কর্মীদের অপমান করা হচ্ছে। এই ডিএ তাঁরা মানেন না।
আরও পড়ুন- Primary TET Result – এই ৪ ভুল প্রশ্নে মিলবে পুরো নম্বর টেট পরীক্ষায়।
সরকার তিন শতাংশ বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করার পরেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের ক্ষোভ আরও বেড়ে গিয়েছে। তাই ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের সব সরকারি অফিসগুলিতে পূর্ণ দিবস কর্ম বিরতির হুশিয়ারি দিয়েছিলেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।তাদের অনুযায়ী ডিএ বৃদ্ধি না করলে তারা কোনও ভাবেই এই আন্দোলন থামাবেন না, রাজ্য সরকারি কর্মীদের সংগঠন একথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন। বকেয়া টাকা না পেলে কোনও কাজ তাঁরা করবেন না।এই আন্দোলন চলতেই থাকবে।
বকেয়া মহার্ঘ (DA updated News) ভাতার দাবিতে সরকারি কর্মীদের পেন ডাউনের বিরোধিতা করেছে সরকার। রাজ্য সরকারের তরফে নোটিশ দিয়ে জানানো হয়েছে জরুরি কারণ ছাড়া কোনও ছুটি মঞ্জুর করা হবে না। তা সত্ত্বেও কেউ ছুটি নিলে তাদের বেতন কাটা যাবে, এমনকী কর্ম জীবন থেকে বাদ যাবে একটি দিন।রাজ্য সরকারের নোটিশকে উপেক্ষত করে সরকারি কর্মীরাও বড় পদক্ষেপ নিল।
আজ সোমবার থেকে লাগাতার কর্ম বিরতি শুরু হয়েছে। বকেয়া ডিএ আদায়ে এদিন সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার এই ‘পেন ডাউন’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। রাজ্যের প্রায় অধিকাংশ সরকারি দফতর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতালে এই কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এর পাশাপাশি স্লোগানিং, বিক্ষোভ অবস্থান চলছে।
আরও পড়ুন- Gramin Toilet – বাংলার প্রতিটা পরিবার পাবে ১২,০০০ টাকা করে, আবেদন শুরু অনলাইনে।
প্রতিটি সরকারি দফতরেই আজ কর্মী সংখ্যা কার্যত অর্ধেক। পেন ডাউন করে দফতরগুলির বাইরে বিক্ষোভ চলছে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন আমরা আজ অনুপস্থিত নই, দফতরে আজ কাজ বন্ধ করে বাইরে ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন করছি।
এছাড়াও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে ইতিমধ্যেই অর্থসচিবের কাছে আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। সেই নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে এই কর্ম বিরতি পালনের ফলে সরকার যদি কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহন করে তাহলে সরকারি কর্মীরাও আইনি পথে হাঁটবেন।তাদের প্রাপ্য ডিএ নিয়ে সরকারের তরফে এরপরেও যদি ইতিবাচক কোনও পদক্ষেপ গ্রহন না করা হয় সেক্ষেত্রে লাগাতার কর্ম বিরতির পথে হাঁটার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন সরকারি কর্মীরা।
প্রতিবাদে সামিল হওয়া সরকারি কর্মীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।লাগাতার আন্দোলনের ফলে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী অসুস্থও হয়ে পড়েছেন।তাই আন্দোলনকারীদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই ধরনাস্থলেই চিকিৎসক এবং নার্সরা থাকছেন।অসুস্থ হলেও তারা আন্দোলন থেকে সরতে রাজি নয়।আন্দোলনকারীদের তরফে সাফ জানানো হয়েছে বকেয়া ডিএ রাজ্য সরকারকে মেটাতে হবে। তারপরই তারা আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন।