Pension scheme: ৬০ বছরে নয়, এবার থেকে ৫০ বছর বয়সেই মিলবে পেনশন। শুক্রবার একটি সভা থেকে এমনই ঘোষণা করলেন ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। এবার থেকে রাজ্যের তফশিলি জাতি ও তফশালি উপজাতিদের বার্ধক্য পেনশন মিলবে ৫০ বছরেই। শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের মুক্তি মোর্চার সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত উৎসবে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।
সেই সভামঞ্চ থেকেই হেমন্ত ঘোষণা করেন, “সরকার এবার থেকে আদিবাসী এবং দলিতদের ৫০ বছর বয়স থেকেই পেনশনের সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁদের মধ্যে মৃত্যুর হার বেশি এবং তাঁরা ৬০ বছর বয়সের পর কোনও কাজ করতে পারবেন না। সরকারের এই সিদ্ধান্ত রাজ্যের প্রান্তিক দুর্বল উপজাতি গোষ্ঠীগুলির জন্য বিশেষভাবে উপকারী হবে।”
ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, ২০০০ সালে ঝাড়খণ্ড রাজ্য গঠিত হওয়ার পর ২০ বছরে, মাত্র ১৬ লক্ষ ব্যক্তি পেনশন সুবিধা পেয়েছিলেন। তবে মুক্তি মোর্চার সরকারের চার বছরে পেনশন সুবিধাভোগীর সংখ্যা বেড়ে ৩৬ লক্ষ হয়েছে। পাশাপাশি, সোরেন শুক্রবার এই অনুষ্ঠানে ৪ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকার ৩৪৩ টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এদিনের সভা থেকে সোরেন বিজেপিকে বেকারত্ব নিয়ে নিশানা করেন।
দেশে বেকারত্ব বৃদ্ধির জন্য তিনি বিজেপিকেই দায়ী করেছেন। জনসভায় তিনি জানান, এই অনুষ্ঠানে প্রায় ৭ হাজার সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র বিতরণ করা হয়েছে। ৪৫ হাজার শূন্য পদের জন্য নিয়োগও চলছে। তিনি আরও বলেন, এর পাশাপাশি ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বিধবা ও বিশেষভাবে সক্ষমদেরও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন সুবিধা ও সরকারি পরিষেবা দেওয়ার জন্য সরকার নিরন্তর চেষ্টা করছে ও নানা সরকারি প্রকল্পও আনা হচ্ছে।
বাড়ির দোরগোড়ায় সরকারি প্রকল্প পৌঁছে দেওয়ার জন্য আপকি যোজনা, আপকি সরকার, আপকে দ্বার পরিষেবাও চালু করা হয়েছে। এদিকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ঝাড়খণ্ড সরকার রূপান্তরকামীদের তাদের পেনশন স্কিমে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেছে। তাদের সামাজিক সুরক্ষা দেওয়ার জন্য় এই বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। মহিলা, শিশু কল্যাণ ও সামাজিক সুরক্ষা বিষয়ক দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রূপান্তরকামীদের ডেপুটি কমিশনারের অফিস থেকে একটা সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হয়। তার মাধ্যমেই পেনশনের স্কিমের আওতায় তিনি অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।