চালু হল মোদী স্কলারশিপ (Modi Scholarship), প্রতি বছর ৩৬ হাজার পেতে আবেদন করুন।
Modi Scholarship scheme – ভালোভাবে পড়াশোনা করে বড় হতে কে না চায়? তবে শুধু চায়লেই তো আর হবে না। প্রয়োজন হয় একটা মোটা অঙ্কের টাকারও, যেটা সবার থাকে না। টাকার অভাবে বহু মেধাবী পড়ুয়া উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। তাই এবার এগিয়ে এসেছেন স্বয়ং কেন্দ্র সরকার, ব্যবস্থা করেছেন স্কলারশিপের (Modi Scholarship).
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নামেই রয়েছে স্কলারশিপটি (Modi Scholarship). অনলাইনে আবেদন করতে হবে এই স্কলারশিপে। আবেদন করলে ছাত্ররা মাসিক ২৫০০ টাকা করে বার্ষিক ৩০,০০০টাকা এবং ছাত্রীরা মাসিক ৩০০০টাকা করে বার্ষিক ৩৬,০০০ টাকা পাবে। এখনো পর্যন্ত আবেদনের জন্য কোনো নির্দিষ্ট তারিখ বলা হয়নি।
তবে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত চলতে পারে আবেদন প্রক্রিয়া।
তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই মোদী স্কলারশিপের (Modi Scholarship) যাবতীয় খুঁটিনাটি। স্কলারশিপে আবেদনের জন্য যোগ্যতা।
১) আবেদনকারীকে অবশ্যই স্থায়ী ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
২) আবেদনকারীর কাছে অবশ্যই উচ্চমাধ্যমিক বা গ্ৰ্যাজুয়েশন পাশের সার্টিফিকেট থাকতে হবে।
৩) আবেদনকারীর কাছে ডাক্তারি/ইঞ্জিনিয়ারিং/MCA/MBA/Pharmasist-এর যেকোনো একটি ডিগ্ৰি থাকতে হবে অথবা আবেদনকারীকে কোনো ভোকেশনাল কোর্সে ভর্তি হতে হবে।
৪) এক্ষেত্রে কোস্ট গার্ড,সেন্ট্রাল সিকিউরিটি, এয়ার ফোর্স, পুলিশ কর্মী,এক্স আর্মিদের পরিবার থেকে আগত ছাত্রছাত্রীরাই কেবল আবেদন করতে পারবে।
৫) আবেদনকারীর নিজস্ব কোনো রোজগার থাকবে না।তার পরিবারের সদস্যকে উপরোক্ত পদগুলির যেকোনো একটি পদে কর্মরত থাকতে হবে। তবেই সে এই স্কলারশিপে আবেদন যোগ্য।
আবেদন প্রক্রিয়া
১) Modi Scholarship আবেদনের জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইট www.kab.gov.in -এ ক্লিক করে PMSS Scholarship অপশনটিকে বেছে নিতে হবে।
২) এরপর আবেদনকারীর নাম,বাবা-মা’র নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ, শিক্ষাগত যোগ্যতা, লিঙ্গ , বর্তমানে যে কোর্স করছেন তার নাম, প্রতিষ্ঠানের নাম ইত্যাদি সম্পর্কিত একটি ফর্ম পূরণ করতে বলা হবে
৩) এরপর আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ফটোকপি, সিগনেচার,উচ্চমাধ্যমিক,গ্ৰ্যাজুয়েশন পাশ-এর সার্টিফিকেট সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস্ স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
৪)এরপর Submit Button-এ ক্লিক করতে হবে।
Modi Scholarship আবেদনে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস হিসাবে লাগবে।
১) পাসপোর্ট সাইজের এক কপি স্ক্যান ফটো।
২) উচ্চমাধ্যমিক ও গ্ৰ্যাজুয়েশন পাশের স্ক্যান করা মার্কশিট ও সার্টিফিকেট।
৩) স্ক্যান করা বয়সের প্রমাণপত্র ( স্ক্যান করা বার্থ সার্টিফিকেট বা অ্যাডমিট কার্ড)।
৪) কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে থাকা পদগুলির যে পদটিতে আবেদনকারীর পরিবারের সদস্য কর্মরত,সেই সদস্য যদি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী,মৃত কিংবা অবসরপ্রাপ্ত হন, সেক্ষেত্রে স্ক্যান করা প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট বা মৃত সার্টিফিকেট কিংবা অবসর সার্টিফিকেট লাগবে।
জনধন অ্যাকাউন্ট থাকলেই মিলবে ১০ হাজার টাকা! কী ভাবে আবেদন করবেন জানুন।
৫) কর্মরত ব্যক্তি যদি ইতোমধ্যে কোনো সাহসীকতার সম্মান অর্জন করে থাকেন,তবে তার স্ক্যান করা সার্টিফিকেট
৬) কর্মরত ব্যক্তির স্ক্যান করা PPO বা Discharge Certificate বা ব্যাংক পাসবইয়ের ফার্স্ট পেজ লাগবে।
এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবরের আপডেট সবার আগে পেতে হলে এই ওয়েবপোর্টালটি ফলো করতে ভুলবেন না।
Written by Arpita Sen.
সকালের বার্তার নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন সকালের বার্তার গুগল নিউজ, সকালের বার্তা ফেসবুক পেজ, সকালের বার্তা টেলিগ্রাম গ্রুপ ও WhatsApp Group.