Primary tet 2014 scam: ২০১৪ সালে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। পরীক্ষা হয়েছিল ২০১৫ সালে। ২০১৬ সালে নিয়োগের প্রথম প্যানেল প্রকাশিত হয়েছিল। আর ২০১৭ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় তালিকা। সেখানে ২৬৯ জন প্রার্থীর নাম ছিল। দ্বিতীয় তালিকায় নিয়োগ হওয়া ২৬৯ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকি টেট ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তও সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে কোমর বেঁধে নেমেছ সিবিআই। (Primary tet 2014 scam) প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কাছ থেকে ২০১৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা (টেট) সংক্রান্ত নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছে।গত ১৬ জুন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলির কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে পর্ষদ। ওই নির্দেশিয়কায় বলা হয়েছে সিবিআই-কে তথ্য দিতে হবে। তাই ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষা দিয়ে যাঁরা প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন তাঁদের তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।
২০১৪ সালের টেট দুর্নীতি মামলা?
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয়েছিল দ্বিতীয় মেধাতালিকা। সেই দ্বিতীয় মেধাতালিকায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছিলেন রমেশ আলি।তিনি দাবি করেন দুর্নীতির জন্য দ্বিতীয় তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই মামলায় সম্প্রতি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ইতিমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক এবং তৎকালীন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচিকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
দ্বিতীয় তালিকার ২৬৯ জনকে ইতিমধ্যেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে হাইকোর্ট। চলতি মাসের শুরুতে পর্ষদের আইনজীবী জানান, ২০১৪ সালের প্রাথমিক টেটের ২৬৯ জনকে অতিরিক্ত এক নম্বর দিয়ে পাশ করানো হয়েছিল। সেই নম্বরের ভিত্তিতে তাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন। (Primary tet 2014 scam) তারপরই তাঁদের বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে বিস্তারিত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেন।
ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে।সেই রিপোর্টে পর্ষদের তরফে দাবি করা হয়েছে, ২৬৯ নয়, মোট ২৭৩ জনকে অতিরিক্ত এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল।প্রাথমিক পর্ষদের তরফে দাবি করা হয়েছিল নম্বর বাড়ানো হয়েছিল কেন? পর্ষদের তরফে দাবি করা হয়েছে একটি প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল (Primary tet 2014 scam) । সেজন্য এক নম্বর বাড়ানো হয়েছিল।
ভুল প্রশ্ন নিয়ে মোট ২,৭৮৭ টি আবেদন জমা পড়েছিল। তাঁদের মধ্যে ২৭৩ জন প্রশিক্ষিত ছিলেন। তাই তাঁদের বাড়তি এক নম্বর দেওয়া হয়েছিল। মোট ১৮ লাখ প্রার্থী অনুত্তীর্ণ হলেও তাঁদের খুঁজে বের করা সম্ভব ছিল না। তাই যাঁরা আবেদন করেছিলেন, তাঁদেরই বাড়তি নম্বর দেওয়া হয়েছিল।সেই পরিস্থিতিতে সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে মানিককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। (Primary tet 2014 scam) জাল নথি পেশের দায়ে সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
২০১৪ সালের টেট দুর্নীতি (Primary tet 2014 scam) নিয়ে রাজ্য সরকার রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে। সেই পরিস্থিতিতে ওই বছর টেট উত্তীর্ণ হয়ে যাঁরা স্কুলে শিক্ষকতা করছেন, তাঁদের থেকে যাবতীয় নথি চেয়েছে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কী কী নথি রেখে দিতে হবে, তা দেখে নিনঃ-
- ১) অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারের প্রতিলিপি।
- ২) জয়েনিং রিপোর্টের প্রতিলিপি।
- ৩) ২০১৪ সালের টেটের অ্যাডমিট কার্ডের প্রতিলিপি।
- ৪) ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ হওয়ার নথির প্রতিলিপি।
- ৫) দশম, দ্বাদশ শ্রেণি-সহ যাবতীয় শিক্ষাগত যোগ্যতার মার্কশিট, সার্টিফিকেট এবং অ্যাডমিট কার্ডের প্রতিলিপি।
- ৬) প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণের অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট ও সার্টিফিকেট বা বি.এডের অ্যাডমিট কার্ড, মার্কশিট এবং সার্টিফিকেটের প্রতিলিপি।
- ৭) জাতিগত শংসাপত্রের প্রতিলিপি।
- ৮) পার্শ্ব-শিক্ষক হিসেবে কাজের চিঠির প্রতিলপি (যদি কেউ করে থাকেন)।
- ৯) বিশেষভাবে সক্ষম, এক্স-সার্ভিসম্যানের মতো সংরক্ষণের আওতায় থাকলে সেই সংক্রান্ত প্রতিলিপি।
- ১০) ২০১৪ সালের টেট সংক্রান্ত যে কোনও নথি।