Nabanna Scholarship – একটি রাজ্যে উন্নতি হওয়া তখনই সম্ভব যখন উচ্চশিক্ষার হার সেখানে বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু উচ্চশিক্ষা পেতে গেলে ছাত্র-ছাত্রীর প্রয়োজন যথেষ্ট পয়সার। কিন্তু ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশের যেকোনো রাজ্যে অনেক মানুষেরই রয়েছে পয়সার অভাব। তাই পশ্চিমবঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য বেশ কিছু স্কলারশিপ বা বৃত্তি প্রদান করে রাজ্য সরকার, তার মধ্যে একটি হল নবান্ন স্কলারশিপ (Nabanna Scholarship). মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষিত এই স্কলারশিপ উত্তর কন্যা স্কলারশিপ নামেও পরিচিত।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে এই স্কলারশিপ (Nabanna Scholarship) প্রদান করা হয়। এই স্কলারশিপ প্রদানের মূল লক্ষ্য বাংলায় অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় উৎসাহিত করা। উচ্চমাধ্যমিক মাধ্যমিক অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বাৎসরিক ১০ হাজার টাকা দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার।
এবার প্রশ্ন কারা কারা এ স্কলারশিপের (Nabanna Scholarship) জন্য আবেদন করতে পারবেন ? যে সমস্ত ছাত্র ছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিক মাধ্যমিক অথবা স্নাতক পাস করার পর পরবর্তী উচ্চ শিক্ষার জন্য আবেদন করেছেন তারা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে। অবশ্যই আবেদনকারীর মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে ৬৫ শতাংশ উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে ৬০% ও স্নাতকোত্তর এর ক্ষেত্রে ৫৫% নাম্বার থাকা আবশ্যিক।
আরও পড়ুন – অবসর বয়সে হন লাখপতি ! বিনিয়োগ করুন কেন্দ্রীয় সরকারের এই পেনশন স্কিমে। – NPS Pension 2023.
তবে এবছর নাম্বারের পার্সেন্টেজ বেশ কিছুটা কম থাকলেও হয়তো এই স্কলারশিপ পেতে পারে ছাত্র-ছাত্রীরা। এছাড়াও তাকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে ও তার পারিবারিকায় বছরে ৬০ হাজার টাকার কম হতে হবে। তবে একটা কথা মাথায় রাখবেন যদি ছাত্র-ছাত্রী অন্য কোন স্কলারশিপ পেয়ে থাকে তাহলে সে এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবে না।
এই স্কলারশিপ (Nabanna Scholarship) এ আবেদন করতে গেলে বেশ কিছু প্রয়োজনীয় নথির প্রয়োজন। সেগুলি হল মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিক অথবা স্নাতকের মার্কশীট। জয়েন এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিলে তাদের ক্ষেত্রে র্যাঙ্ক কার্ড থাকা আবশ্যিক। পৌরসভা/BDO/ SM/ SDO/ গ্রুপ A অফিসারের থেকে নিয়ে আসা ইনকাম প্রুফ, ব্যাংকের পাসবুকের প্রথম পাতার ছবি, দু কপি ফটো। এবং তার সঙ্গে নিয়ে আসতে হবে আবেদনপত্র।
Nabanna Scholarship কি ভাবে আবেদন করবেন?
এই স্কলারশিপের (Nabanna Scholarship) জন্য আপনাকে অফলাইনে আবেদন করতে হবে। নবাননের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে আবেদন পত্র ডাউনলোড করে নিয়ে সেটিকে ফিলাপ করে সমস্ত ডকুমেন্টের সঙ্গে পাঠিয়ে দিতে হবে নিচের দেওয়া ঠিকানায়। কিন্তু আপনি যদি দক্ষিণবঙ্গে বসবাসকারী হন সে ক্ষেত্রে আবেদনপত্রটি পাঠান নিচের দেওয়া ঠিকানায়,
Department of CMRF Scholarship,
Chief Minister’s Office : ‘NABANNA’
325, Sarat Chatterjee Road
Howrah – 711 102
আপনি যদি উত্তরবঙ্গের বসবাসকারী হন তবে আপনি এই ঠিকানায় আবেদনপত্র পাঠাবেন।
Department of CMRF Scholarship,
Office of the Chief Minister’s Mini Secretariat
UTTARKANYA’, New Satellite Township,
Fulbari , Near NJP Station , Jalpaiguri
তবে মনে করা হচ্ছে এ বছর প্রাপ্ত নাম্বারের পার্সেন্টেজ কিছুটা কম থাকলেও আপনি এই স্কলারশিপ (Nabanna Scholarship) পেতে পারবেন। কার যত আপনি মাধ্যমিক পাস করলেই এই স্কলারশিপ পেতে পারেন। বলে মনে করছে অনেকে। তবে এখনো যেহেতু মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকে রেজাল্ট বেরোয়নি তাই এই স্কলারশিপ নিয়ে কোন ঘোষণা করেনি পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তবে খুব শীঘ্রই মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরোনোর পর এই স্কলারশিপ (Nabanna Scholarship) নিয়ে সমস্ত তথ্য আবারও নতুন করে জানাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
আরও পড়ুন – মাধ্যমিক পাস করলেই ২৪ হাজার টাকা পাবেন! কিভাবে পাবেন বিস্তারিত জানুন