wbsedcl electric bill discount: বর্তমানে বিদ্যুৎ বিলের খরচ আকাশ ছুয়েছে। রাজ্যের মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পরিবারগুলি বিদ্যুতের বিলের খরচ মেটাতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। বিদ্যুতের বিলের খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে এখন সকলের পকেটে বেশ টান পড়ছে। আর এই পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের একটু স্বস্তির খবর শোনালো পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় ইলেক্ট্রিসিটি সরবরাহকারী সংস্থা ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কর্পোরেশন লিমিটেড (WBSEDCL )।
এবার থেকে বিদ্যুতের বিলের উপরে বাড়তি ছাড় (wbsedcl electric bill discount) পাওয়া যেতে পারে বলে জানাচ্ছে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কর্পোরেশন লিমিটেড। তবে বিদ্যুতের বিলের উপর এই ছাড় পেতে হলে অবশ্যই গ্রাহকদের একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চলতে হবে। সেই পদ্ধতি মেনে চললে বিলের উপরে এক শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে।
WBSEDCL এর তরফ থেকে দেওয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যদি সহায়তা কেন্দ্র বা কিয়স্ক ই-পেমেন্টের মাধ্যমে কেউ যদি তাদের ইলেকট্রিক বিল জমা দেন, তাহলে গ্রাহকরা অতিরিক্ত ছাড় পেয়ে যাবেন। রাজ্য সরকারের তরফে বাংলা সহায়তা কেন্দ্র’ মারফত রাজ্যবাসীকে নানান দিক থেকে সহায়তা বা কাজে সাহায্য করা হয়। এবার থেকে গ্রাহকরা ইলেকট্রিক বিলে সাশ্রয়ের জন্য (Electricity Bill Payment Online ) এই বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে যেতে পারেন।
বাংলা সহায়তা কেন্দ্র মারফত বিদ্যুৎ বিলের ই-পেমেন্ট করলে গ্রাহকরা ১ শতাংশ ছাড় পেয়ে যাবেন। রাজ্যজুড়ে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিকে (Electricity Bill Payment Online) আরও জনপ্রিয় করা তোলার জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। একাধিক প্রশাসনিক বৈঠকও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এই বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন।
বিদ্যুতের বিলের উপর যদি এক শতাংশ ছাড় (wbsedcl electric bill discount) পাওয়া যায় তাহলেও স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুতের খরচ কিছুটা কমে যাবে। যে পরিবারে প্রতি মাসে বিদ্যুতের বিল আসে ১০০০ টাকা। সেখানে গ্রাহক যদি এখন থেকে সহায়তা কেন্দ্রে গিয়ে পেমেন্ট করে সেক্ষেত্রে এক শতাংশ অর্থাৎ ১০ টাকা ছাড় পাবেন।
সেক্ষেত্রে গ্রাহককে ৯৯০ টাকা বিদ্যুতের বিল দিতে হবে। তার সাথেই যে সমস্ত গ্রাহকরা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই বিল জমা দেন তাদের ক্ষেত্রেও ডব্লিউবিএসইডিসিএল এই ছাড় দিয়ে থাকে। বর্তমানে নানা রকম পেমেন্ট এপ্লিকেশন গুলি চলে আসায় অধিকাংশ মানুষ ডিজিটালি পেমেন্টের দিকে বেশি ঝুঁকছে।
রাজ্যে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে এর আগেও নানা রকম আলোচনা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিলের বৃদ্ধি নিয়ে অনেকেই নানা কথা বলেছেন। কলকাতা তো বটেই, এমনকি শহরতলিতেও বিদ্যুৎ বিলের বৃদ্ধি নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ ছিল। বর্ধিত বিদ্যুৎ বিলের কারণে সাধারণ মধ্যবিত্তের সংসারে টান পড়বে এমন কথাও বলেছিলেন অনেকে। অবশেষে ডব্লিউবিএসইডিসিএল বিদ্যুৎ বোর্ডের এই সিদ্ধান্তে এক বড় অংশের নাগরিকেরা স্বাভাবিকভাবেই খুশি।