নিয়োগ দুর্নীতি মামলা সময়ে সময়ে নিচ্ছে নতুন মোড়। প্রায় সামনে আসছে নতুন নতুন এমন এমন ঘটনা যা শুনলে রীতিমত চমকে উঠছে সাধারণ মানুষ। আবারো এক তেমন ঘটনা সামনে এলো। জানা গেল বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী একজন ব্যক্তি পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক স্কুলে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক হিসাবে চাকরি করছেন। বেশ কিছুদিন আগেই এই নিয়ে মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে।
জানা গিয়েছে ২০১২ সালে এই ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেন এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের একটি জায়গায় বসবাস শুরু করেন এই ব্যক্তি। সূত্রের খবর বিভিন্ন জাল নথির মাধ্যমে তিনি একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা চাকরি ও পান এবং তার সঙ্গে সঙ্গে তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে তার মা-বাবাকে নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের এলাকাতেই বসবাস করছেন, ওই ব্যক্তির নাম উৎপল মণ্ডল।
আরও পড়ুন – কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলারা ৩৬০০ টাকা পাবেন, বিস্তারিত জেনে নিন।
মামলাকারীর দাবি তিনি প্রায় ২০১২ সাল থেকে বেআইনিভাবে বাংলাদেশ থেকে এসে তার জমি দখল করে রয়েছেন এবং পশ্চিমবঙ্গ একটি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতাও করছেন। এই ঘটনা বিচারপতি অভিযোজিত গঙ্গোপাধ্যায়ের রেঞ্চে আসার পর পরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে তার স্কুলে ঢোকা এবং তার ব্যাংক একাউন্টে মাইনে ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞ জারি করেছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের তরফে জানানো হয়েছে দরকার হলে এই মামলায় সিবিআই তদন্তেরও নির্দেশ দিতে পারেন তারা।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আগামী ৪ জুলাই উৎপল কে আদালতে হাজির থাকা নির্দেশ দিয়েছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপারকেও এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে বিষয়ে তারা যেন পুরোপুরি ভাবে লক্ষ্য রাখে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এর আগে টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার বিভিন্ন ঘটনা সামনে এলেও এরকম ধরনের কোন ঘটনা সামনে আসেনি। এই ধরনের ঘটনায় সামনে আসায় অবাক হয়ে গিয়েছেন অনেকেই।
অনেকেই মনে করছেন কিভাবে যার নথিপত্র দেখিয়ে এভাবে একটি সরকারি চাকরি করা সম্ভব। তবে শেষ অবধি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নতুন করে কি নির্দেশ দেন সেটি দেখার ভরসায় রয়েছেন অনেকেই। আগামী ৪ই জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি। পরবর্তী শুনানিতেই বোঝা যাবে এই মামলায় পরবর্তীতে কি কি হতে চলেছে। এই ধরনের খবর সবার আগে পেতে অবশ্যই আমাদেরকে ফলো করুন।
আরও পড়ুন – সরকার মেয়েদের জন্য ফ্রী করে দিল বাস ভাড়া, সরকারের নতুন প্রকল্প Shakti smart cards.