Post Office Scheme – অধিকাংশ মানুষ দিনরাত পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করেন। আর কষ্ট করে উপার্জন করা টাকা ব্যাংক বা পোস্ট অফিসে সঞ্চয় করে থাকেন। ভবিষ্যৎ জীবনের দিকে লক্ষ্য রেখেই এই সঞ্চয় করে থাকেন সকলে। কিন্তু বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতিতে সঞ্চয়ের সঙ্গে কৌশলে বিনিয়োগ (Investment Scheme) করাটা জরুরি। এমন কোনো জায়গায় টাকা বিনিয়োগ করতে হবে, যেখান থেকে ভবিষ্যৎ সময়ে একটা মোটা অংকের টাকা এক লপ্তে হাতে পাওয়া যাবে।
প্রতিটা মানুষই টাকা সঞ্চয় করার আগে এই ধরনের স্কিমের খোঁজ করেন। কিন্তু খোঁজ করলেই তো হবে না। সমস্ত স্কিম বা প্রকল্প সম্বন্ধে হয়তো সব মানুষ জানেন না। এটা স্বাভাবিক। ব্যাংক, পোস্ট অফিস বা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বহুবিধ প্রকল্প রয়েছে। সেখানে নানা ধরনের সুদের হার রয়েছে।
তাই এরকম একটা সময়ে এমন একটি স্কিমের খোঁজ করতে হবে, যেখানে বিনিয়োগ হবে সামান্য টাকা, অথচ মেয়াদ শেষে হাতে পাবেন একেবারে মোটা অংকের টাকা (Small Investment Big Return) এবার ভাবছেন তো, এরকম স্কিম কোথায় আছে? এখানে সেই বিষয়েই জানানো হবে।
আরও পড়ুন – Ration Card – পুরো ৮০ হাজার টাকা মিলবে রেশন কার্ড থাকলে ! আবেদন করুন এই প্রকল্পে।
দেশ জুড়ে পোস্ট অফিসের অজস্র শাখা (Post Office) ছড়িয়ে রয়েছে। ব্যাংকে যেরকমভাবে বিভিন্ন ধরনের স্কিমে (Post Office Scheme) সঞ্চয় করে থাকেন, পোস্ট অফিসেরও বহু এরকম স্কিম (Post Office Scheme) রয়েছে। যেখানে খুব সামান্য টাকা জমালে ভালো পরিমাণে সুদ পাওয়া যায়। আর পোস্ট অফিসের তরফেও দেশবাসীর জন্য বিভিন্ন ধরনের স্কিম তৈরি করা হয়। যাতে দেশের সমস্ত স্তরের মানুষ টাকা সঞ্চয় করতে পারেন।
পোস্ট অফিসের কোন স্কিম (Post Office Scheme) এটি?
পোস্ট অফিসে এরকমই একটি স্কিম (Post Office Scheme) রয়েছে, যেখানে মাত্র ৬০০ টাকা বিনিয়োগ করলে ১ লক্ষ টাকার তহবিল তৈরি করা যায়। পোস্ট অফিসের রেকারিং ডিপোজিটে (Post Office Recurring Deposit) যদি প্রতিমাসে ৬০০ টাকা করে নিয়মিত সঞ্চয় করতে পারেন, তাহলে ৫ বছর সময়সীমায় ৪২ হাজার ৫৯৩ টাকার তহবিল তৈরি হবে। ৫ বছর পরে ওই RD আরো ৫ বছরের জন্য বাড়িয়ে নিতে পারেন।
সেক্ষেত্রে ১.১ লক্ষ টাকা মেয়াদ শেষে হাতে পেয়ে যাবেন। বর্তমানে পোস্ট অফিস রেকারিং ডিপোজিটে ৬.৫০ শতাংশ সুদ দেওয়া হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে জেনে রাখা দরকার, পোস্ট অফিসের যে কোনো স্কিমের (Post Office Scheme) সুদের ক্ষেত্রে ৩ মাস পর পর পর্যালোচনা করা হয়। এবার পোস্ট অফিস রেকারিং ডিপোজিটে মিনিমাম ১০০ টাকা দিয়েও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।
PORD-তে বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করা নেই। সেক্ষেত্রে আপনার ক্ষমতা অনুযায়ী নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকার RD করতে পারেন। হিসাব করলে দেখা যাবে, ৫ বছরের যে রেকারিং ডিপোজিটের হিসাব দেওয়া হচ্ছে, সেখানে আপনি জমা দিচ্ছেন ৭২ হাজার টাকা। আর পোস্ট অফিস থেকে সুদ পাওয়া যাচ্ছে ২৯ হাজার ৩৮৮ টাকা। ফলে পোস্ট অফিস রেকারিং ডিপোজিটে অল্প পরিমানে নিয়মিত বিনিয়োগ করলে ১ লক্ষ টাকার ফান্ড তৈরি করতে পারবেন।
ভবিষ্যতের দিকে নজর দিয়ে যদি পরিশ্রমের টাকা একটু একটু করে PORD সহ এই ধরনের কোনো স্কিমে নিয়মিত সঞ্চয় করতে থাকেন, তাহলে আগামী দিনে বাজারের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সাথে সাথে সেই পরিস্থিতিতে দৈনন্দিন জীবন ধারণের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা তৈরি হবে না। তাই যেকোনো সঞ্চয়ের আগে বিভিন্ন ধরনের স্কিম সম্বন্ধে খোঁজখবর নিয়ে নিন। তারপরেই সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করুন।
আরও পড়ুন – Jio Bharat Smartphone – জলের দরে দুর্দান্ত ফোন ! মাত্র ৯৯৯ টাকা 4G-র স্মার্টফোন