নিউজ ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে অনেকেই স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। কিন্তু কীভাবে নিজের ফোন সুরক্ষিত রাখতে হবে, এবং এর জন্য কী কী পদক্ষপ নেওয়া জরুরি সেই বিষয়ে অনেকের সম্যক ধারণা নেই।বর্তমান সময়ে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকিও দারুণভাবে বেড়েছে।তাই আপনার ফোন হ্যাক হলে বড়সড় সমস্যায় পড়তে পারেন আপনিও। অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা যেমন গায়েব হতে পারে,তেমনই আবার আপনার সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পৌঁছে যেতে পারে হ্যাকারের কাছে।তাই আজ অত্যন্ত সহজ কিছু উপায়ের কথা বলব, যে উপায়গুলি অবলম্বন করলে আপনার স্মার্টফোনের নিরাপত্তা অনেকগুণে বেড়ে যাবে, আর নির্ভয়ে সেই ফোন ব্যবহার করা যাবে।এই সহজ উপায়গুলি হলঃ-
১)নিয়মিত ফোনের সফটওয়্যার আপডেটঃ-
যেকোনও ধরনের হ্যাকিং বা ত্রুটি থেকে নিজের ফোনকে রক্ষা করতে সফটওয়্যার আপডেট রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এই আপডেটের সঙ্গে এমন অনেক সিকিউরিটি ফিচার থাকে যা ফোনকে সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। সফটওয়্যার আপডেট না করার জন্য সুরক্ষার খামতির সুযোগ নিয়ে হ্যাকার আপনার ফোনে প্রবেশ করতে পারে।তাই ফোনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত আপডেট বা অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করা জরুরী।
২)নিরাপদ অ্যাপ ইনস্টল করুনঃ-
শুধুমাত্র Google Play Store থেকেই অ্যাপ ইনস্টল করুন। অ্যাপগুলি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার কথা মাথায় রাখতে হবে।কোনও অ্যাপ ডাউনলোড ও ব্যবহার করার আগে দেখে নিতে হবে সেই অ্যাপে এনক্রিপশনের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে কিনা।এনক্রিপশন আপনার ফোনে থাকা তথ্যকে সুরক্ষিত রাখে এবং অন্য কেউ আপনার চ্যাট অ্যাক্সেস করতে পারে না।তাই এনক্রিপশন আছে, এমন অ্যাপই আমাদের ব্যবহার করা উচিত, এগুলিই ফোনকে নিরাপদ রাখবে। কোনও থার্ড পার্টি অ্যাপ ব্যবহার না করাই ভাল।
৩)সমস্ত অ্যাপে অ্যাক্সেস দেওয়া এড়িয়ে চলুনঃ-
বর্তমান সময়ে প্রায় প্রতিটি অ্যাপই আপনার ফোন থেকে প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করে।যেমন আপনার অবস্থান থেকে পরিচিতি পর্যন্ত।তাই আপনার তথ্য অন্য কারোর হাতে চলে যাওয়া আটকাতে চাইলে ব্যক্তিগত তথ্য অ্যাক্সেস করতে চায় এই ধরনের অ্যাপগুলি ডাউনলোড করবেন না।এছাড়া যে অ্যাপগুলি আপনি ব্যবহার করেন না, সেই অ্যাপগুলিকে ফোন থেকে ডিলিট করে দিন।এই অ্যাপগুলি একদিকে যেমন ফোন থেকে তথ্য সংগ্রহ করে, পাশাপাশি দখল করে রাখে ফোনের স্টোরেজও।